রাবাত, ১৬ সেপ্টেম্বর – মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে গত শনিবারের ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় তিন হাজার মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একই স্কুলের ৩২ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাও রয়েছে। একসঙ্গে ৩২ শিক্ষার্থীকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছেন স্কুলটির শিক্ষক।
ভূমিকম্পের সময় মারাকেশ শহরে ছিলেন স্কুলশিক্ষক নাসরিন আল-ফাদেল। ভূমিকম্প হওয়ার পরপরই নাসরিনের মাথায় আসে স্কুলের শিশুশিক্ষার্থীদের কথা। তার স্কুলের অবস্থান ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছেই।
ভূমিকম্পের পরপরই আদাসিল গ্রামে ছুটে যান আরবি ও ফরাসি ভাষার শিক্ষক নাসরিন। গিয়ে মাঝবয়সী এই নারী জানতে পারেন, সন্ধ্যার ওই ভূমিকম্পে ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী তার ৩২ শিক্ষার্থীর সবাই মারা গেছে।
নাসরিন বলেন, ‘গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আমি শেষবার তাদের ক্লাস নিই। এর ঠিক পাঁচ ঘণ্টা পরই ভূমিকম্প আঘাত হানে। শুধু কল্পনায় ভাসছে, উপস্থিতির খাতাটি হাতে দাঁড়িয়ে একে একে ৩২ শিক্ষার্থীর নাম ধরে ডাকছি।’
মরক্কোয় আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মারাকেশের দক্ষিণে যেসব গ্রাম একেবারে ধ্বংস হয়েছে, সেগুলোরই একটি আদাসিল।
গ্রামের সেদিনের পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে নাসরিন বলেন, ‘ভূমিকম্পের পরই ছুটে গেলাম গ্রামে। সবার কাছে আমার বাচ্চাগুলোর ব্যাপারে জানতে চাই, সৌম্য কোথায়? ইউসুফ কোথায়? কোথায় আমার মেয়ে আর ছেলেগুলো? এর কয়েক ঘণ্টা পর উত্তর আসে, তাদের কেউই নাকি বেঁচে নেই।’
সূত্র: দেশ রূপান্তর
আইএ/ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩