বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ভিকটিম প্রবাসে: চকরিয়ায় তাঁর নামে সাজানো হয়েছে মাইক্রো থামিয়ে মালামাল লুটের নাটক!

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ৬ জুন, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া::

প্রবাসি রেজাউল করিম থাকেন প্রবাসে। তাঁর গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম ভেওলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দরবেশকাটা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আহামদ হোছাইনের ছেলে। তিনি কর্মরত আছেন আরব আমিরাতে।
পরিবার সুত্রে অভিযোগ উঠেছে, রেজাউল করিম বর্তমানে দুবাইতে তাঁর কর্মজীবন অতিবাহিত করলেও একই এলাকার বাসিন্দা নুর আহমদের ছেলে সদ্য প্রবাস ফেরত মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৩৮) গত ২৯ মে চকরিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন প্রবাসি রেজাউল করিম (৩৬) ও তাঁর ভাই চায়ের দোকানী জিয়াবুল হকের (২৮) বিরুদ্ধে।
অভিযোগটির ভিত্তি হিসেবে এজাহারে তুলে ধরা হয়েছে, গত ২৮ মে শনিবার চট্টগ্রাম বিমান বন্দর থেকে চকরিয়ায় গ্রামের বাড়িতে আসার পথে তাঁর সাথে দুবাই থেকে আসা অপর প্রবাসি রেজাউল করিম ও তার ভাই জিয়াবুল হক চকরিয়ার বরইতলী নতুন রাস্তার মাথার পাম্পের উত্তর পার্শ্বে প্রবাসি ইব্রাহিমকে জোরপুর্বক গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে ২৩ লাখ টাকার মালামাল ভর্তি বিফক্সেসহ গাড়িটি নিয়ে চলে যান।
এ ঘটনায় মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় দেয়া অভিযোগটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী তদন্তের জন্য থানার এসআই মাইনউদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে অভিযোগটির তদন্ত চলমান।
প্রবাসি রেজাউল করিম বলেন, আমি এখনো দুবাইতে আছি। কর্মজীবন অতিবাহিত করছি। সেখানে কীভাবে চকরিয়ায় গিয়ে আমি ওই প্রবাসির মালামাল নিয়ে গেলাম। আবার আমার সঙ্গে ছোটভাইকেও জড়ানো হয়েছে। যেখানে আমি দেশে যায়নি, সেখানে এইধরণের ঘটনার অবতারণা হয় কীভাবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইব্রাহিম মাসের ভেতর কমপক্ষে দুইবার দেশে আসা যাওয়া করে। মুলত তিনি বিমানে আসা যাওয়ার সময় স্বর্ণের চালান পরিবহন করেন।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই ব্যবসায় জড়িত আছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে কোন সংস্থা গোপনে তদন্ত করলে গ্রামের এলাকায় তাঁর বিপুল অর্থবিত্ত ও সম্পদের সন্ধান পাবে। প্রবাসি রেজাউল করিম দাবি করেন, চালান নিয়ে বিমানে আসা যাওয়ার সময় প্রবাসি ইব্রাহিম কৌশলে বিদেশ ফেরত বাংলাদেশী যে কোন প্রবাসির সঙ্গে ভাব জমিয়ে তাকে ব্যবহার করে থাকে। অনুরূপভাবে গত ২৮ মে অপরিচিত প্রবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বিমানে দেশে যান। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নেমে ওই প্রবাসি তাঁর মালামাল নিয়ে চম্পট দিয়েছে বলে শুনেছি।
অথচ সেই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আমাকে এবং ছোটভাইকে জড়িয়ে কাল্পনিক নাটক তৈরী করেছে অভিযুক্ত ইব্রাহিম। আবার তিনি ঘটনাটির কল্পকাহিনী ছাপিয়েছে গণমাধ্যম ও অনলাইন পোস্টালে। থানায় দিয়েছে অভিযোগ। আমি এধরণের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। পাশাপাশি থানা পুলিশের কাছে নিরপেক্ষ সঠিক তদন্তের আবেদন জানাই।
প্রবাসি রেজাউল করিমের ভাই জিয়াবুল হক চকরিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার ভাই এখনো দুবাই। তিনি দেশে আসেননি। অথচ আমাদেরকে জড়িয়ে একই এলাকার প্রবাস ফেরত ইব্রাহিম সাজানো অভিযোগ দিয়ে আমার পরিবারকে হয়রাণির চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। দুবাইতে আমার ভাইয়ের ব্যবসায়িক উন্নতি সহ্য করতে না পেরে চক্রান্তের অংশহিসেবে প্রবাস ফেরত ইব্রাহিম এসব করছেন। আমার পরিবার এইধরণের সাজানো ঘটনায় অযথা হয়রাণি থেকে মুক্তি চাই। সেইজন্য প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই। #


আরো খবর: