নয়াদিল্লি, ১৬ জুলাই – ভারতের পশ্চিম উত্তর প্রদেশে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ কানওয়ার তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
শনিবার (১৫ জুলাই) মিরাট জেলায় ভবনপুরের রালি চৌহান গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে হাইটেনশন লাইনের তার ছিঁড়ে পড়লে বিপত্তি ঘটে।
মিরাটের ভবানপুরের রালি চৌহান গ্রামে ভগবান শিবের ভক্ত কানওয়ার যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এটি একটি ধর্মীয় তীর্থক্ষেত্র। সেখানে সারা ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়।
জানা যায়, হাইটেনশন লাইনের তারটি ভিড়ের উপর ছিঁড়ে পড়ে। এর ফলে এক ডজনেরও বেশি লোক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পাঁচজন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
এই দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ মানুষজন প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন। তারা এই ঘটনার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের দায়ী করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বলে তারা মনে করেন। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান গ্রামবাসীরা। এই দুর্ঘটনার ফলে কানওয়ার যাত্রার প্রস্তুতিতে বাধা পড়ল বলেই মনে করছেন তীর্থযাত্রীরা। এর পিছনে প্রশাসনিক গাফিলতিকেও দায়ী করছেন অনেকে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, অনেক গ্রামবাসীর আবেগ ও অনুভূতি ধাক্কা খেল। দায়বদ্ধতা এবং ন্যায়বিচারের জন্য গ্রামবাসীরা দাবি জানাচ্ছেন।
এদিনের ট্র্যাজেডি নাড়া দিয়ে গিয়েছে তীর্থযাত্রী ও গ্রামবাসীদের। তারই ফলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তার ফলে বিক্ষোভ দানা বাঁধে। এই ঘটনার পর প্রশাসন চটজলদি ব্যবস্থা নিয়েছে। কানওয়ার যাত্রার আবেগে যাতে কোনো আঘাত না নেমে আসে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, কানওয়ার যাত্রা ভারতের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যগুলি থেকে প্রতি বছর আনুমানিক ১০০ থেকে ১২০ কোটি মানুষ অংশগ্রহণ করে। কানওয়ারিয়া নামে পরিচিত তীর্থযাত্রীরা গেরুয়া পোশাক পরে ভক্তি প্রদর্শনে মহাসড়কের উপর দিয়ে খালি পায়ে হেঁটেও যান অনেকে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৬ জুলাই ২০২৩