বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে একজনের নাম জানা গেছে। তিনি হলেন- মুসল্লি আক্কাস আলী (৫০)। তার বাড়ি ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায়।
দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হলো তুরাগ তীরে
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে ও রাতে ইজতেমার ময়দানে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এবারের ইজতেমার প্রথম পর্বে মোট ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলো।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ফজরের নামজের পর ইজতেমা ময়দানে তাদের জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে ময়দানের ৪২১নং হালকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আক্কাস আলী। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া একইদিন আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের চিকিৎসক ইমাম গাজ্জালী বলেন, আক্কাস আলী নামে ওই মুসল্লিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো।
এদিকে ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর থেকে ইবাদত, বন্দেগি, জিকির-আসকার চলে। এরপর ইমান ও আমল নিয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে বয়ান শুরু হয়। উর্দুতে বয়ান শুরু করেন পাকিস্তানি মাওলানা খুরশিদুল হক রায়বেন। আর বাংলায় তা তরজমা করে শোনান মাওলানা যোবায়ের আহমদ।
এর আগে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার প্রথমদিনে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জুমার নামাজের জামাত হয়। জুমার নামাজে ইমামতি করেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের। নামাজে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণ ছিল। আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে তুরাগ নদীর তীর। শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করেন সবাই। মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কাল পেরিয়ে আবারো সমবেত হতে পারায় শুকরিয়া আদায় করেন তারা।