বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

বিক্রি রসিদ হাতে ধরিয়ে দিয়ে টমটম বাইক নিয়ে চম্পট: গাড়ি হারিয়ে দিশেহারা মালিক

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধি,চকরিয়া::

পারিবারিক দৈন্যদশার কারণে এক লাখ ৬০ হাজার দরদাম নির্ধারণ করে নিজের টমটম বাইক গাড়িটি বিক্রির কথাবার্তা ঠিক করে ছিলেন রিয়াদ উদ্দিন। কথা মতো ক্রেতা চকরিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাহারিয়াঘোনা খামারপাড়া এলাকার মৃত এজাহার আহমদের ছেলে মোহাম্মদ শফি একশত টাকার তিনটি স্ট্যাম্পে বিক্রি রসিদও কম্পিউটার দোকান থেকে লিখে নিয়ে যান রিয়াদ উদ্দিনের কাছে। চুক্তি অনুযায়ী গাড়ি বিক্রির টাকা রিয়াদ উদ্দিনের হাতে দেয়ার আগে বিক্রি রসিদটি পড়িয়ে দেখতে বলেন।

এরপর টমটম গাড়িটি ভালো আছে কী না একটু চালিয়ে দেখতে বাহনা ধরেন ক্রেতা শফি। সরল বিশ্বাসে গাড়ি মালিক রিয়াদ উদ্দিন তাতে অভয় দেন। সুযোগ পেয়ে গাড়িটি চালানোর অজুহাতে চালকের আসনের বসে টমটম গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেন ক্রেতা শফি। আট মাস আগে গেল ফেব্র“য়ামী মাসে ঘটনাটি ঘটলেও এখনো টমটম বিক্রির এক লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সিকদারপাড়া গ্রামের জাফর আহমদের ছেলে হতভাগা রিয়াদ উদ্দিন।

ভুক্তভোগী রিয়াদ উদ্দিন দাবি করেন, আত্মীয় স্বজন থেকে ধায়দেনা করে টমটম গাড়িটি নিয়েছিলাম। গাড়ির আয়ে আমার সংসার চলতো। কিন্তু পারিবারিক দৈন্যদশা ও আত্মীয় স্বজনের কর্য টাকা দিতে গিয়ে আমি গাড়িটি বিক্রির সিদ্বান্ত নিই। ক্রেতা চকরিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাহারিয়াঘোনা খামারপাড়া এলাকার মৃত এজাহার আহমদের ছেলে মোহাম্মদ শফি এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে গাড়িটি কিনতে রাজি হন। কথা মতো গত ২২ ফেব্র“য়ারী ক্রেতা সফি একশত টাকার তিনটি স্ট্যামে গাড়ি বিক্রির রসিদ বানিয়ে এনে আমার হাতে দেয়। টাকা দেওয়ার আগে গাড়িটি চালিয়ে দেখার কথাবলে আমার গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয়। এরপর আমি তার বাড়িতে একাধিকবার এসেছি। কিন্তু তিনি আমার গাড়ির টাকা দিতে বিভিন্নভাবে গড়িমশি করছে। এখন আমাকে হুমকি দিচ্ছে, বলছে কীসের টাকা। আমি এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুবিচার চাই। আমি এব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেব। ##


আরো খবর: