শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

বান্দরবানে পর্যটকদের ডাকছে ‘তমা-তুঙ্গী’

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২২

দেশের অন্যতম পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং, তাজিংডং ও ডিম পাহাড়। বৃহৎ এই তিন পাহাড় ঘিরে বান্দরবান পর্যটনে এবার নতুন দুয়ার খুলেছে তমা-তুঙ্গি। নতুন এ পর্যটন স্পটে দাঁড়ালে দূর পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করা যায় সহজেই। সম্ভাবনাময় এ পর্যটন স্পটকে ঘিরে পাহাড়ে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

পাহাড় ও প্রকৃতি যারা পছন্দ করেন তাদের অধিকাংশই বান্দরবানে ঘুরতে আসেন। এখানকার নীলাচল, নীলগিরি, চিম্বুকের পাশাপাশি রয়েছে কেওক্রাডং, তাজিংডং, ডিম পাহাড়সহ অন্তত ১০টি সুউচ্চ পাহাড়। সম্প্রতি শীর্ষ এসব পাহাড়ের সৌন্দর্য একসঙ্গে অবলোকন করতে গড়ে উঠেছে তমা-তুঙ্গী। দেশের অন্যতম পাহাড়গুলোর সৌন্দর্য আর আকাশের সঙ্গে মেঘের মিতালী যেন পাখির চোখেই দেখা মেলে এই স্পটে দাঁড়ালে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় এই পর্যটন স্পটটি গড়ে উঠেছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা অন্তত আড়াই হাজার ফুট।

সরেজমিন দেখা যায়, তমা তুঙ্গী টুরিস্ট ভিউ পয়েন্ট-১ থেকে তাজিংডং, কেওক্রাডং এবং ডিম পাহাড় দেখা যায়। এছাড়া টুরিস্ট ভিউ পয়েন্টগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকরা মনের আনন্দে ছবি তুলেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ‘থানচি-রেমাক্রি-মদক-লিক্রি’সড়কে এই ভিউ পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মনজুরুল ইসলাম, কর্নেল মুহম্মদ সাইফুর রহমান, লে. কর্নেল মো. শাহাব উদ্দিন, লে. কর্নেল হাসান আরিফুল রহমান, মেজর মো. মোস্তফা কামাল, ক্যাপ্টেন মো. আশানুর ইসলাম, ক্যাপ্টেন একেএম ওয়ালিউল্লাহসহ আরও অনেকেই।

থানচি সদর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে এই পর্যটন স্পটের অবস্থান। ইতিমধ্যেই এটি বান্দরবানের ‘হট স্পট’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর তমা-তুঙ্গী টুরিস্ট ভিউ পয়েন্ট এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মনজুরুল ইসলাম পিবিজিএমএস, পিএসসি।

স্থানীয় বাসিন্দা জিয়ং বম, কাপ্রু ত্রিপুরা ও পর্যটক সত্যজিত মজুমদার বলেন, সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের সময় এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয় তমা-তুঙ্গীর। এছাড়া মেঘ ও আকাশের মিতালী যেকোনো পর্যটক সহজেই আকৃষ্ট হয়।

থানচি-লিক্রি সড়কে উন্নয়ন প্রসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, বান্দরবানের দুর্গম এলাকা থানচি উপজেলা। সেই দুর্গম এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় স্কুল, কলেজ, ফায়ার সার্ভিস, থানা-উপজেলা ভবন থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে থানচি থেকে লিক্রি পর্যন্ত সীমান্ত এলাকার রাস্তা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। তারা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পাহাড়ে উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এ সড়কের কাজ শেষ হলে পর্যটন ক্ষেত্রে অভাবনীয় সফলতা আসবে।

আগামীতে এ পর্যটন স্পট বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পর্যটন হিসেবে গড়ে উঠবে এমনটি প্রত্যাশা ভ্রমণপিপাসু মানুষের।


আরো খবর: