রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১১ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

বাইডেনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, যুদ্ধ থামাবে না নেতানিয়াহু

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪
বাইডেনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, যুদ্ধ থামাবে না নেতানিয়াহু


জেরুজালেম, ০১ জুন – ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক ও শাসন ক্ষমতা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে না- এমন কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

যদিও ইসরায়েলের পক্ষে গাজায় তিন ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

শনিবার (১ জুন) নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইসরায়েলের শর্ত পরিবর্তিত হয়নি, হামাসের সামরিক ও শাসন ক্ষমতা ধ্বংস করা, সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং গাজা যাতে আর ইসরায়েলের জন্য হুমকি না হয় তা নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে ইসরায়েল এসব শর্ত পূরণে জোর দিতে থাকবে। এসব শর্ত পূরণ হওয়ার আগে ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে, এমন চিন্তা-ভাবনা অর্থহীন।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে শুক্রবার (৩১ মে) একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই প্রস্তাবে প্রথমে ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি এবং পরে ধীরে ধীরে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে বলা হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিন ধাপের নতুন এই প্রস্তাবে গাজায় পুরোপুরি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সুযোগ রয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে। হামাসের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, ‘হামাস সবসময় বলে থাকে, তারা যুদ্ধবিরতি চায়। এখন হামাসের সামনে প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে যে তারা আসলেই এটা চায় কিনা।’

এদিকে, বাইডেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলেছে, তারা এতে ‘ইতিবাচক’। ইসরায়েলের বিরোধী দলগুলোও এতে সমর্থন জানিয়েছে। হামাসের হাতে যেসব জিম্মি রয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই প্রস্তাব কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েল। ইতিমধ্যে ছোট্ট এই উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে শতাধিক ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে। এসব বন্দির মুক্তি নিশ্চিত করতে নেতানিয়াহু সরকারের ওপর দিনকে দিন চাপ বেড়েই চলেছে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০১ জুন ২০২৪





আরো খবর: