[ad_1]
ঢাকা, ১৬ আগস্ট – দেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তার খ্যাতি রয়েছে। ফলে মানুষের কাছে তার মতামতের আলাদা গ্রহণযোগ্যতা আছে। মাঝে মাঝে তিনি সামাজিক মাধ্যমে নানা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে দু-চার কথা লেখেন। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আন্দোলন থেকে শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার সব বিষয় নিয়েই কথা বলেছেন এই গুণী নির্মাতা। এবার ১৫ আগস্ট এবং স্বাধীনতা প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতেই বঙ্গবন্ধুর সপরিবার হত্যা করা হয়। দিনটিকে স্মরণ করে প্রতিবছরের মত এবারেও আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাকর্মীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
এই কর্মসূচি ঠেকাতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি সংলগ্ন সড়ক ও আশপাশের এলাকা দখল করে রাখে। এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। এই ঘটনার বিষয়কে কেন্দ্র করে কথা বলেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আজ শুক্রবার সকালে এই নির্মাতা ফেসবুক পোস্টে ১৫ আগস্টের ঘটনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে আহ্বান করেছেন। ফারুকী তার ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘এই স্বাধীনতা কি আমরা চেয়েছিলাম’? ৭১-য়ে বিজয়ের পরবর্তী কয়েক মাস এমন কি বছর পর্যন্ত এই একই প্রশ্ন নিশ্চয়ই অনেকেই করেছিলেন। মুক্তিযদ্ধের পর একটা ভেঙ্গে পড়া রাষ্ট্রের নানা রকম বিশৃঙ্খলা দেখে এই প্রশ্ন করার মানুষের অভাব ছিলো না। আমি তো মনে করতে পারি মধ্য আশি পর্যন্ত এই কথা হরহামেশাই মানুষ বলতো। ২৪-য়ের বিজয়ের এক দিন না যেতেই এই প্রশ্ন কেউ কেউ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর এবং আজকে দুই প্রেক্ষিতেই এর উত্তর- সকল কিছুর পরও স্বাধীনতাই শ্রেয়। স্বাধীনতার চেয়ে শ্রেয় কেবল অধিকতর স্বাধীনতা।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঘটনা উল্লেখ করে ফারুকী আরও বলেন, গতকাল অনেক কিছুই হয়েছে যা নিন্দনীয়। আশার কথা এই যে, ছাত্র নেতারা ইতিমধ্যেই সেটা স্বীকার করে এর পুনরাবৃত্তি না করার আহবান জানিয়েছেন। ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে গিয়ে ফ্যাসিবাদের টেম্পলেট ইউজ করা যাবে না। কিন্তু আমাদেরকে সময়টাও বুঝতে হবে। এক চরম অস্থির সময় যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদ হঠাও আন্দোলনে অনেক মত-পথের মানুষ ছিলো। তাদের মত-পথ-বিশ্বাস যে এক তা না। বিজয়ের পর স্বাভাবিক ভাবেই বিভিন্ন মত পথের অ্যাকটিভিস্ট বা অনুসারী ভাবছেন এটা একান্তই তার বিজয়। সুতরাং দেশটা উনি যেভাবে চান সেভাবেই সাজানো হোক। ফলে বিজয়ীদের দিক থেকে কিছু উস্কানী আছে। কেউ কেউ চায় দেশে বঙ্গবন্ধুর নিশানা থাকতে পারবে না। যদিও এই চরম চিন্তা আমাদের আগানোর জন্য ক্ষতিকর বলে আমি মনে করি। এই নিয়ে আগেও লিখেছি। এগুলো কোনো কাজে তো আসেই না, বরং জাতি হিসাবে আমাদের দুর্বল করে। বঙ্গবন্ধুর শাসনকাল নিয়ে হাজারো প্রশ্ন এবং সমালোচনা থাকতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা হিসাবে তাকে মুছে দেয়া যাবে? কিছু কিছু চেষ্টা ফল দেয় না। যেরকম আওয়ামী লীগ প্রাণপণে চেয়েছে বিএনপিকে মুছে দিতে, জিয়াউর রহমানকে রাজাকার বানাতে। পেরেছে?
উল্লেখ্য, ফারুকী নির্মিত মুক্তি পাওয়া সর্বশেষ ওয়েব ফিল্ম ‘মনোগামী’। চরকির জন্য নির্মিত এই ফিল্মটিতে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী ও সংগীতশিল্পী জেফার।
আইএ/ ১৬ আগস্ট ২০২৪
[ad_2]