বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

পেকুয়ায় ভূল চিকিৎসায় হাসপাতালে কাতারাচ্ছে গৃহবধূ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২

পেকুয়া প্রতিনিধি::

কক্সবাজারের পেকুয়া হাতুড়ে ডাক্তার সাইফুলের ভূল চিকিৎসায় হাসপাতালে কাতারাচ্ছে কুলছুমা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূ। তিনি উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মরিচ্যাদিয়া এলাকার মো.ইউনুসের স্ত্রী। ওই ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কুলসুমাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত চার দিন ধরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

সরজমিনের দেখা যায়, উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাজী মার্কেট এলাকায় লাব্বাইক মেডিকেল নামক চেম্বার খুলে রোগী দেখেন সাইফুল। চেম্বারের সামনে বড় সাইনবোর্ডে লিখা আছে ডাক্তার সাইফুল ইসলাম। সরকারী কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে নামের আগে লিখেন ডাক্তার। আবার তিনি চেম্বারে নানান রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষাও করেন। অল্প মেডিকেল সার্জারির যন্ত্রপাতি নিয়ে সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করতে বেশবুশা যেন বড় ডিগ্রিধারী ডাক্তার। এতে মগনামার কাজী মার্কেট এলাকার আশে পাশের অসংখ্য রোগীরা তার প্রতারণার শিকার হচ্ছে। এধরণের ভূল চিকিৎসা দিয়ে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা।

কুলছুমার স্বামী ইউনুছ বলেন, আমি প্রথমে স্ত্রীকে নিয়ে পেকুয়ায় ডাক্তার জিয়ার কাছে গিয়েছিলাম। ডাক্তার জিয়া সবকিছু দেখে আমার স্ত্রীর রক্তশুন্যতার কারনে একটি স্যালাইন লিখে দেয়। পরে ওই স্যালাইনটি দেওয়ার জন্য সাইফুলের চেম্বারে গেলে সে চার ঘন্টার স্যালাইনটি ৩০ মিনিটে শেষ করে। স্যালাইনটি দেওয়ার কিছুক্ষন পরই স্ত্রীর পুরো শরীর ফুলে ডায়রিয়া শুরু হয়ে যায়। ভুল চিকিৎসার প্রতিবাদ করলে উল্টা গালিগালাজ করে পরিণতি খারাপ হবে বলে হুমকি দেয়।

তিনি আরও বলেন, ডাক্তার সাইফুল আমাকে বলেন স্যালাইন পুশ করা আমার কাজ, কোন প্রেসক্রিপশন দেখা আমার কাজ না। সে কেমন ডাক্তার একটি স্যালাইন দেওয়ার নিয়ম না জেনেও এই এলাকায় মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে ডাক্তার জিয়া উদ্দিন বলেন, রোগীটা আমার কাছে আসছিল। আমি তাকে রক্তশুন্যতার কারনে একটি স্যালাইন লিখে দিয়েছি। স্যালাইনটি শরীরে সঞ্চালন হতে চার ঘন্টা সময় লাগবে। কিন্তু গ্রামের সাইফুল নামের এক হাতুড়ে ডাক্তার আমার প্রেসক্রিপশন না দেখে চার ঘন্টার এই স্যালাইনটি (৩০) ত্রিশ মিনিটে শেষ করে দিয়েছে। এতে করে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।

পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) মো. মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী বলেন, মগমামা কাজী মার্কেট এলাকায় এক হাতুড়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো খবর: