পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের পেকুয়ায় জায়গার বিরোধের জেরে একই পরিবারের নারীসহ পাঁচজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পুর্ব টইটং চৌকিদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতেরা হলেন, চৌকিদার পাড়ার মৃত আসহাব মিয়ার ছেলে মো.মহছন আলী (৫৫), তাঁর স্ত্রী নুরতাজ বেগম (৪৫), ছেলে মো. রিফাত (১৭), বড় ভাই মো.হোসাইন (৫৮) ও বোন মেহরাজ খাতুন (৬০)।
তাদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে নুরতাজ বেগমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়সুত্রে জানা গেছে, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা নিয়ে মহছন আলীর সাথে প্রতিবেশী মৃত আব্দু রহিমের ছেলে নেজাম উদ্দিনের বিরোধ চলছে। সম্প্রতি বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এর জের ধরে রাতে নেজাম উদ্দিন গং মহছন আলীর পরিবারের ওপর পরিকল্পিত মারপিট করে।
আহত মহছন আলী বলেন, ৭ থেকে ৮ বছর আগে প্রতিবেশী আব্দু রহিমের কাছ থেকে রিজার্ভ ভুমি (পাহাড়ি জায়গা) ক্রয় করি। সেখানে ক্ষেত খামার করে আসছি। আব্দু রহিম মারা গেছেন। সম্প্রতি ওই জায়গা জবর দখল করতে চায় তার ছেলে নেজাম উদ্দিন। জায়গায় ঘর নির্মাণ করতে গেলে নেজাম উদ্দিন বাধা দিচ্ছে।
রাতে চৌকিদার পাড়া ছাদেকের চায়ের দোকানে নেজামের সাথে আমার সামান্য বাকবিতন্ডা হয়। সে আমাকে মারধর করে। এসময় ছেলে রিফাত আমাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে।
তিনি আরো বলেন, ছেলেকে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে এসময় নেজামের নেতৃত্বে জমির উদ্দিন, আব্দুল করিম, রেজাউল করিম,শামসুল আলম, আব্দু সোবহান, রিফাত, এরফানসহ ১০-১২ জন লোক ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ফের আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় পাঁচজন গুরুতর আহত হই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নেজাম উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানায়, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
###