কক্সবাজারের পেকুয়ায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছে বহু মামলার আসামি কিশোর গ্যাং লীডার মীর্জা বাহাদুর (৩০)। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পেকুয়া বাজার থেকে থানা পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। বাহাদুর উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জালিয়াকাটা এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে।
এদিকে পুলিশের হাতে বহু অপকর্মের হোতা সন্ত্রাসী বাহাদুর আটক হওয়ায় এলাকায় সাধারণ জনগনের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অস্ত্রধারী বাহাদুর পুলিশের হাতে আটক হওয়ার খবরটি এলাকায় চাউর হলে মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নেটিজানরা ফেসবুকে তাকে নিয়ে নীতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
জানাগেছে, মীর্জা বাহাদুর একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। অস্ত্রধারী ও বহু মামলার আসামি। এলাকায় তিনি কিশোর গ্যাং লীডার হিসেবে পরিচিত। এদিকে মীর্জা বাহাদুর তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে গত কিছু দিন ধরে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর
বিভিন্ন ধরণের স্ট্যাটাস দিয়ে আসছিল। যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম আইনি সহায়তা চেয়ে মঙ্গলবার (আজ) বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মীর্জা বাহাদুর একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী। কয়েকদিন ধরে সে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ধারাবাহিক মানহানিকর স্ট্যাটাস দিয়ে আসছিল। এমনকি চকরিয়া পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীককে নিয়েও কুরুচিপুর্ণ বিভ্রান্তিমুলক স্ট্যাটাস দিয়েছে। তাকে অনেকবার শতর্ক করা হলেও সে কর্ণপাত করেনি। বাধ্য হয়ে থানায় এজাহার দিয়েছি।
এদিকে মীর্জা বাহাদুর এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিরও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠনের কাছ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে সংগঠনের সভাপতি মো.রফিক বাদি হয়ে গত ১০ জুন চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাহাদুরকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার সি.আর মামলা নং ১৫৮৮/২৪।
পেকুয়া থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) রাজেশ বড়ুয়া বলেন, মীর্জা বাহাদুরের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।