নিজস্ব প্রতিবেদক::
পেকুয়া প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পাক্ষিক পেকুয়ার সম্পাদক ছফওয়ানুল করিমের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ৩ দিন পর আহত ওই সাংবাদিক নেতাকে প্রধান আসামি করে একটি পাল্টা মামলা করেছে হামলাকারীর এক স্বজন।
এতে সাংবাদিক নেতার দায়ের করা মামলার স্বাক্ষি ঠিকাদার তারেকুল ইসলাম সহ আরো ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। হামলার শিকার সাংবাদিক নেতার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন পেকুয়ায় কর্মরত সাংবাদিক নেতারা।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, গত ১৫ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিম উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়াস্থ নিজ বসতঘর থেকে প্রেস ক্লাবের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে রওয়ানা হয়ে ডবল ব্রীজ এলাকায় এলে পেকুয়া হাসপাতালে মাস্টাররোলে কর্মরত নৈশ প্রহরী মিফতাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে তার উপর হামলা চালানো হয়। এতে ছফওয়ানুল করিম (৪২) ও তার সহোদর ব্যাংক কর্মকর্তা জিল্লুল করিম (৩০) আহত হয়ে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। ওইদিনই সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিম বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি কামাল উদ্দিনকে আটক করে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিতর্কিত নৈশ প্রহরী মিফতাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের হয়রানি ও ভর্তি রোগীদের মালামাল চুরির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল হাসপাতালে সরিজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন মিফতাহ উদ্দিন। এঘটনার জের ধরে সংবাদ প্রকাশ করলে হাত কেটে ফেলার হুমকিও দেয় মিফতাহ উদ্দিন।
পরদিন ১৫ এপ্রিল সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিম বাড়ী থেকে প্রেস ক্লাবের উদ্দেশ্যে বের হলে মিফতাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে তার পুত্র রাসেল মেস্ত্রি ও ইয়াবা ব্যবসায়ী ছোটন সহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এঘটনায় তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে পুলিশের সামনেও সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বেপরওয়া মিফতাহ উদ্দিন। পরে পুলিশ চলে গেলে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে আবারো হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
এ বিষয়ে সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিম জানান, “সাড়ে ৩ টায় আমি আক্রান্ত হবার পর থেকেই সহকর্মী সাংবাদিক এবং পুলিশের সাথেই কখনো হাসপাতালে কখনো থানায় ছিলাম। অথচ আমার নেতৃত্বে হামলার একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনা দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি পাল্টা মামলা নিয়ে একটি কালো নজির স্থাপন করেছে পেকুয়া থানা।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, “থানায় যে কেউ অভিযোগ দিলে তা আমলে নেয়া পুলিশের দায়িত্ব। একই ঘটনায় দুটি মামলা হতেই পারে তবে তদন্তপূর্বক অবশ্যই সত্য ঘটনাকে আমরা তুলে এনে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধেই কেবল আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। কোন অবস্থাতেই নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি করা হবেনা।”