মস্কো, ২৫ জুন – রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের কর্মকাণ্ডকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি বলেছেন, রাশিয়া ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করছে এবং এখন আমাদের ঐক্য প্রয়োজন। যা ঘটছে তাকে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা বলে অভিহিত করেছেন।
ওয়াগনার বাহিনীর নাম উল্লেখ না করলেও পুতিন রাশিয়ার সমাজকে যারা বিভক্ত করছে তাদের ‘অনিবার্য শাস্তির’ বিষয়ে যে সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেছেন তার জবাব সরাসরি এবং বেপরোয়াভাবেই দিয়েছেন ওয়ানগার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।
শনিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে পুতিন ওয়াগনার যোদ্ধাদের কোনো উল্লেখ না করে বলেছেন, রুশদের ‘প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক দুঃসাহসিক কাজে জড়ানো হয়েছে’।
পুতিনের ওই ভাষণের পর ওয়াগনারের টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করা হয় বলে জানায় বিবিসি।
যেখানে প্রিগোজিনের মত শোনায় এমন একটি পুরুষ কণ্ঠকে বলতে শোনা যায়, ‘মাতৃভূমিকার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা সম্বন্ধে, প্রেসিডেন্ট বড় ধরণের ভুল করেছেন।আমরা দেশপ্রেমিক। আমরা যুদ্ধ করছি এবং এখনো করে যাচ্ছি। আমাদের দোষ স্বীকার করতে… প্রেসিডেন্ট যেমনটা চেয়েছেন, এফএসবি (রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা) অথবা অন্যকেউ বা কেউই তেমনটা করতে যাচ্ছে না।কারণ আমরা চাই না আমাদের দেশ আর দুর্নীতি, মিথ্যা ও আমলাতন্ত্রের মধ্য দিয়ে চলুক।
দীর্ঘ এক দশক ধরে বিভিন্ন দেশে রাশিয়ার ছায়াযুদ্ধের সহযোগী ছিল তার বাহিনী। মূলত ইউক্রেন যুদ্ধে গিয়ে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার ক্ষোভ জানিয়েছিলেন ওয়াগনার প্রধান। রুশ সামরিক নেতাদের সঙ্গেও তার বৈরিতা দিন দিন বাড়ছিল। শুক্রবার তা প্রকাশ্যে রূপ নেয়।
প্রিগোজিনের দাবি, ভাড়াটে বাহিনীর সাফল্যে দেশীয় সামরিক নেতারা ঈর্ষান্বিত। তাই তাদের ঠিকমতো অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ভেতর যে ‘শয়তান’ আছে তাদের থামাতে হবে। আমরা ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই করছি। যারাই আমাদের বাহিনীর সামনে দাঁড়াবে তাদেরই ধ্বংস করে দেওয়া হবে। আমার সেনারা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। করে কেবল পকেট রাউটার দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এর মাধ্যমেও মোবাইল ব্যবহারকারীর লোকেশন অজানা থাকে। তবে এ কথা মনে রাখতে হবে প্রযুক্তির শেষ বলে কিছু নেই।
সূত্র: যুগান্তর
এম ইউ/২৫ জুন ২০২৩