শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

পাল্টা কর্মসূচি না, জনগণের জানমাল রক্ষায় মাঠে থাকবে আ.লীগ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
পাল্টা কর্মসূচি না, জনগণের জানমাল রক্ষায় মাঠে থাকবে আ.লীগ

চট্টগ্রাম, ২৪ ফেব্রুয়ারি – তথ্যমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শনিবার বিএনপি সারা দেশের জেলায় জেলায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এগুলো করে তারা আসলে দেশে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোপূর্বের কর্মসূচিতে তারা গাড়ি-ঘোড়া পুড়িয়েছে। আমাদের শান্তি সমাবেশের ওপর হামলা চালিয়েছে। সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের পাশে থাকা, দেশে যাতে কেউ শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করতে না পারে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে উন্নয়ন সমন্বয় সভার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছি না। কিন্তু যারা রাজনীতির নামে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, জনগণের মালামালে আগুন দিয়েছে, তারা যে আবার কখন একই কাজ করবে সেটি বলা যায় না। তাই আমরা শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রত্যেকটি জেলায় শান্তি সমাবেশ করব এবং সতর্ক দৃষ্টি রাখব, যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে। কারণ বিএনপির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি তো নিজেরাই সন্ত্রাসী দল। দশ ট্রাক অস্ত্র পাচার করে ভারতর্ষেও তারা অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। যে কথাটি আমরা এতদিন বলে আসছিলাম, বিএনপির মন্ত্রী-এমপি, হাওয়া ভবন ও হাওয়া ভবনের বরপুত্র তারেক রহমান যে অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিল, এটি অনুপ চেটিয়ার সাম্প্রতিক বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর ঘোষণা করেছিলেন, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী কোনো দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা সহ্য করা হবে না। সে কারণে এ ধরনের চোরাচালান এবং অস্ত্র চোরাচালান পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছে। গত বছর আমি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো সফরে গিয়েছিলাম। বিএনপির সময়ে হাওয়া ভবন এবং তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় অস্ত্র চোরাচালান হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যখন মাঠে নামে, তখন জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য বাধ্য হয়ে আমাদেরও মাঠে থাকতে হচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাঠের রাজনীতির দল। আমরা বিরোধী দলে যখন ছিলাম তখন যেমন মাঠে ছিলাম, সরকারি দল হলেও মাঠে আছি এবং থাকব। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে বিরোধী দলের রাজনীতির দমনের চেষ্টা করছে সরকার। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বা কোনো দলকে দমানোর চেষ্টা করছি না। সেটি হলে তো বিএনপি কোনো প্রোগ্রামই করতে পারত না।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম তখন আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুই পাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বের হতে দিত না। এমনকি আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। সেখানে অভিযান চালিয়েছিল এবং কাউকে বের হতে দেয়নি। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে সেখানে ছুটে যেতে হয়েছে, আমাদের কর্মীদের তাদের পেটুয়া বাহিনী ও পুলিশ দিয়ে যে হামলা করেছিল সেখান থেকে উদ্ধারের জন্য। আমিও সেদিন সঙ্গে ছিলাম। সেই ধরনের ঘটনা তো এখন ঘটে না।

উন্নয়ন সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩.


আরো খবর: