শিরোনাম ::
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

পশ্চিমা সহায়তা ছাড়া ইউক্রেন এক সপ্তাহের বেশি টিকবে না

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩
পশ্চিমা সহায়তা ছাড়া ইউক্রেন এক সপ্তাহের বেশি টিকবে না


মস্কো, ০৬ অক্টোবর – যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন ও বিরোদীদলের দ্বন্দ্বের জেরে ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক ‍ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও জানিয়েছে দিয়েছে, কিয়েভের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমে গেলে সে অভাব তারা পূরণ করবে না। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পশ্চিমা সামরিক ও আর্থিক সহায়তা ছাড়া ইউক্রেন এক সপ্তাহও টিকতে পারবে না। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সোচি শহরে মস্কোভিত্তিক থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের এক সভায় দেওয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেছেন পুতিন।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রতি মাসে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে ইউক্রেনকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। একবার যদি তা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তারা এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, একই কথা তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও খাটে। কল্পনা করুন, আগামীকাল সহায়তা আসা বন্ধ হয়ে গেল। তাদের সব গোলাবারুদ মাত্র এক সপ্তাহে ফুরিয়ে যাবে।

রাশিয়ার কাছে হারানো অঞ্চল পুনঃদখলে গত জুন মাসে পাল্টা আক্রামণ শুরু করেছিল ইউক্রেন। কিয়েভের এ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৯০ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছে বলেও দাবি করেছেন পুতিন।

গত শনিবার শেষ মুহূর্তে স্টপগ্যাপ তহবিল বিল পাস করে শাটডাউন ঠেকায় মার্কিন কংগ্রেস। এ বিল পাসের ফলে আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি অর্থায়ন বজায় থাকবে। তবে এ বিলে কট্টরপন্থি রিপাবলিকানদের দাবি মেনে ইউক্রেনের জন্য নতুন কোনো সহায়তা রাখা হয়নি। এরপরই ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।

এমন পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার স্পেনে ইউরোপীয় রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের (ইপিসি) এক সভায় ইইউ পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিয়েভের প্রধান দাতা যুক্তরাষ্ট্রে জায়গা নিতে পারবে না।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁকা স্থান কি ইউরোপ পূরণ করতে পারবে? ইউরোপ কখনো যুক্তরাষ্ট্রের এ জায়গা নিতে পারবে না।

সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ০৬ অক্টোবর ২০২৩





আরো খবর: