[ad_1]
ওয়াশিংটন, ২৫ সেপ্টেম্বর – তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘যেমন করে হিটলারকে থামাতে হয়েছিল, তেমনি নেতানিয়াহু ও তার নেটওয়ার্ককে মানবতার ঐক্য দিয়ে থামানো এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।’গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।গাজায় বিরতীহীন হামলার সমালোচনায় এরদোগান বলেন, ‘গাজা আজ শিশু ও নারীদের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম কবরখানায় পরিণত হয়েছে। ৪১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি গত ৭ অক্টোবর থেকে নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৭ হাজারেরও বেশি শিশু সরাসরি ইসরাইলি বোমা ও গুলির শিকার হয়েছেন।’ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্যালেস্টাইনের স্থায়ী সদস্যপদ পেতে এই যে পদক্ষেপ আমরা দেখছি, এটি তাদের দীর্ঘ সংগ্রামের ফলাফল। এ সময় তিনি জাতিসংঘেরও সমালোচনা করে বলেন, ‘জাতিসংঘ তার প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে উঠছে। বিশ্ব শান্তি এবং নিরাপত্তা কেবল ৫টি স্থায়ী সদস্য দেশের ইচ্ছাধীন হওয়া উচিত নয়।’তুর্কি এ প্রেসিডেন্ট আরও যোগ করেন, ‘ইসরাইলের চালানো হামলা জাতিগত নিধন এবং মানবতার ওপর একটি সরাসরি আক্রমণ। ইসরাইল যেভাবে ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে যাচ্ছে এবং সেখানে নারকীয় হামলা চালাচ্ছে, তা মূলত একটি গণহত্যা। এটি নৈতিক অবক্ষয়ের একটি বিরাট উদাহরণ।’এরদোগানের ভাষায়, ‘ইসরাইলি কারাগারে বন্দিদের অবস্থার ছবি দেখে বোঝা যায়, এগুলো আসলে অত্যাচারের কেন্দ্র। গাজায় আজ কেবল শিশু নয়, মানবতার আশা এবং জাতিসংঘের নীতি ও মূল্যবোধও ধ্বংস হচ্ছে।’ প্যালেস্টাইনের শিশুদের অধিকার এবং ইসরাইলি দমননীতির সমালোচনায় এরদোগান বলেন, ‘তুরস্কের মানবিক সাহায্য ফিলিস্তিনিদের জন্য অব্যাহত থাকবে। আমরা ৬০ হাজার টনেরও বেশি মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছি। আমাদের সমস্যা ইসরাইলের জনগণের সাথে নয়, বরং ইসরাইলি সরকারের অন্যায় নীতির বিরুদ্ধে।’তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে আর কোনো ‘বিভ্রান্তিকর চক্রান্ত’ বরদাশত না করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান এবং ইসরাইলের সঙ্গে একটি অবিলম্বে ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেন।প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে ইসরাইলের হামলায় ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।সূত্র: আমাদের সময়আইএ/ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
[ad_2]