মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

নেতানিয়াহুকে হিটলারের সাথে তুলনা করলেন এরদোগান

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
নেতানিয়াহুকে হিটলারের সাথে তুলনা করলেন এরদোগান


আঙ্কারা, ২৭ ডিসেম্বর – ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার বোমা হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আর অ্যাডলফ হিটলারের মাঝে কোনও পার্থক্য নেই। গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে ইহুদিদের প্রতি নাৎসিদের আচরণের সাথে তুলনা করেছেন তিনি।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন রয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য তুরস্কের। গত ৭ অক্টোবর গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলার সমালোচনা করছে দেশটি। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে ‘‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’’ বলে অভিহিত করে তুরস্ক বলেছে, ইসরায়েলি নেতাদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের চেষ্টা করা উচিত।

এরদোয়ান বলেন, গাজা সংঘাতের বিষয়ে নিজস্ব মতামতের দায়ে নিপীড়নের শিকার শিক্ষাবিদ এবং বিজ্ঞানীদের তুরস্কে স্বাগত জানানো হবে। ইসরায়েলের গাজা হামলায় সমর্থনকারী পশ্চিমা দেশগুলোও যুদ্ধাপরাধ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘তারা হিটলারকে নিয়ে খারাপ কথা বলত। হিটলারের সাথে আপনার পার্থক্য কী? এই নেতানিয়াহু কি হিটলারের চেয়ে কম করছেন? না কম করেন নাই।’’

এরদোয়ান বলেন, ‘‘তিনি হিটলারের চেয়েও ধনী, তিনি পশ্চিমাদের কাছ থেকে সমর্থন পান। সব ধরনের সহায়তা আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। আর এই ধরনের সহায়তা দিয়ে তারা কী করছে? তারা ২০ হাজারের বেশি গাজাবাসীকে হত্যা করেছে।’’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।

অন্যদিকে, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি, ইসরায়েলের ভূখণ্ড থেকে ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সেদিন জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩





আরো খবর: