ইসলামাবাদ, ১৩ এপ্রিল – পাকিস্তানে নিজেদের দূতাবাস কার্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছে সুইডেন। দূতাবাস থেকে দেওয়া এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা থেকেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে সুইডেনের সরকার।
দূতাবাসসূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হামলা সংক্রান্ত একটি হুমকি আসার জেরে নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত। তবে বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে এ সংক্রান্ত কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি, দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তাও এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে চাননি।
অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানে দিন দিন অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে রাজনৈতিক পরিবেশও। বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ ও ইসলামী জঙ্গিদলগুলোর তৎপরতা আরও বেড়েছে, সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের সঙ্গে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের জটিলতা।
এতদিন পাকিস্তানের রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ ছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা হ্রাস করতে আইন পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট, তারপর থেকেই পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তানে সুইডিশ দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দূতাবাস কার্যালয় বন্ধ সংক্রান্ত নোটিশটি আপলোড করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ইসলামাবাদের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পাকিস্তানে নিজেদের দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইডেনের সরকার। এখন থেকে দূতাবাসের অভিবাসন শাখা ব্যতীত বাকি সব বিভাগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। আমরা আমাদের কনস্যূলেটরের কাছে কোনো নথিও আপাতত না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘আমরা বুঝতে পারছি, এ পদক্ষেপ পাকিস্তানের সরকারের জন্য অসুবিধাজনক, কিন্তু দূতাবাসকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ।’
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, দূতাবাস কবে নাগাদ খোলা হতে পারে— এ ধরনের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেবে না সুইডেনের সরকার।
পাকিস্তানের রাজনীতি বিশ্লেষকদের অনেকের ধারণা, সুইডেনে সম্প্রতি কোরআন পোড়ানোর ঘটনার জেরে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা থেকেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ১৩ এপ্রিল ২০২৩