সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

নওয়াজ শরিফ হেরে যাওয়া আসনের ফল স্থগিত করলো ইসিপি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
নওয়াজ শরিফ হেরে যাওয়া আসনের ফল স্থগিত করলো ইসিপি


ইসলামবাদ, ১১ ফেব্রুয়ারি – সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) নেতা নওয়াজ শরিফের হেরে যাওয়া আসনের ফলাফল স্থগিত করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। এই আসনে প্রাথমিক ফলাফলে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিলেন নওয়াজ। খবর ট্রিবিউনের।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইসিপির চার সদস্যের একটি বেঞ্চে আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর, এনএ-১৫ মানসেহরা আসনের ফলাফল ঘোষণা থেকে বিরত থাকতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। এই আসনের চূড়ান্ত ফলাফল জারি না করার জন্য নওয়াজ শরিফ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছিলেন।

পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে শুরু থেকেই ছিল বিতর্ক। আর পশ্চিমা গণমাধ্যমে তো ভোটের আগেই বলে দেওয়া হয়, নির্বাচনে জিতবেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফ। কিন্তু আলোচনায় থাকা সেই নওয়াজই হেরে যান পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে।

নওয়াজের আইনজীবী জানান, তারা ১২৫ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৫টির ফরম পাননি। তাদের অনেক পোলিং এজেন্টকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি কমিশনকে মনে করিয়ে দেন, নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।

বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, আসনটিতে ১ লাখ ৫ হাজার ২৪৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গুস্তাসাপ খান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরিফ পেয়েছেন ৮০ হাজার ৩৮২ ভোট।

এদিকে, নির্বাচনে ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নাটকীয়তা। ফল ঘোষণায় অস্বাভাবিক বিলম্ব, পুলিশের নির্বিচার গুলি বর্ষণ, গণগ্রেপ্তারের ফলে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে। এরই মধ্যে বিক্ষোভের ডাক দেয় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই। সেই বিক্ষোভে যোগ দেয় আরও কয়েকটি দল।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ থামাতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে। সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আন্দোলকারীদের ঠেকাতে জলকামানসহ কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত বৃতস্পতিবার পাকিস্তানে নির্বাচন হলেও ফলাফল ঘোষণা নিয়ে গড়িমসি করায় পিটিআইসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল। পরে তাদের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে দেশটির রাজধানী। এতেই নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন।

আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ৯৭ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন ৭৬ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ছোট দল পেয়েছে ৩৭টি আসন।

সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪





আরো খবর: