রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

দেশে সংকট নেই, বিএনপিতে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩


ঢাকা, ২৫ জুলাই – দেশে নয় সংকট ঘণীভূত হচ্ছে বিএনপিতে, এমন অভিমত প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘দেশে কোনো সংকট নেই। বিএনপি সংকট তৈরির চেষ্টা করছে, কিন্তু পারেনি বরং তাদের দলের মধ্যে সংকট ঘণীভূত হচ্ছে।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রয়াত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও সাংবাদিক স. ম আলাউদ্দীন স্মরণে প্রকাশিত ‘দীপ্ত আলাউদ্দীন’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আলাউদ্দীন তনয়া লায়লা পারভীন সেঁজুতি এবং সাংবাদিক এ এইচ এম তারেক উদ্দীন মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালে সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিলো, ভেবেছিলো সরকার তিন মাসের মধ্যে পড়ে যাবে কিন্তু সেই সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করেছে। ২০১৮ সালেও তারা সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিলো, আবারও ভেবেছিলো সরকার মনে হয় টিকবে না। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকের কাছে নানা দেন-দরবার, দেশে-বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে তারা অনেক চেষ্টা করেছিলো। তারা কিছুই করতে পারেনি।

ড. হাছান বলেন, এখনও দেশে কোনও সংকট নেই, কিন্তু বিএনপির মধ্যে সংকট আছে। কারণ বিএনপির নেতারা নির্বাচন করতে চায় কিন্তু মূল নেতৃত্বের কাছ থেকে নির্বাচন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পায় না। এটি একটি বড় সংকট। বিএনপি এমন একটি দল যারা জনমানুষের দল বলে দাবি করে অথচ তাদের নেতা-কর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছে না। এটি তো একটি দলের আভ্যন্তরীণ সংকটের বহি:প্রকাশ। কখন সেই দলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে তা এখন সময়ের অপেক্ষা।

এভাবে যদি তাদের দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়, দলের মধ্যে যে কোনও সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা যদি আগামী সংসদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়, দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২৭ জুলাই বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সমাবেশ ডাকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত: বিএনপি যে দিন সমাবেশ ডাকবে সেদিন এত বড় ঢাকা শহরে আর কেউ সমাবেশ করতে পারবে না- এ নিয়ম তো নেই। দ্বিতীয়ত: বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে তখন তো মানুষ আতঙ্কে থাকে, সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কিংবা এর সহযোগী সংগঠনের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা, বিশৃঙ্খলার বিষয়ে সতর্ক থাকা।

সূত্র: সমকাল
আইএ/ ২৫ জুলাই ২০২৩


আরো খবর: