জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, “দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। সরকার দুর্যোগ মোকাবেলার লক্ষ্যে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে দুর্যোগে প্রাণহানি নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের উদ্যোগে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কর্মসূচি প্রণয়নের পথিকৃৎ। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই বর্তমান সরকার দুর্যোগ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের টেকসই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে এবং মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দুর্যোগ প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে গ্রামীণ রাস্তায় সেতু-কালভার্ট নির্মাণ, গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিংবোন বন্ডকরণ, উপকূলীয় এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, জেলা ত্রাণ গুদাম-কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগকালে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।”
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজারের পরিচালক ও পপুলেশন মূভমেন্ট অপারেশনের হেড অব অপারেশন এম, এ হালিম এবং সিপিপির উপ-পরিচালক রুহুল আমিন বক্তব্য রাখেন
পরে দিবসটি উপলক্ষে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা বীচ পয়েন্টে র্যালীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। এতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে।