ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি – প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে হাতিয়ে নেয়া দেড়-লক্ষাধিক টাকা ডিবি পুলিশের সহায়তায় ফেরত পেলেন চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে দুইজন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পলাশ জোমাদ্দার (৩০) ও জুয়েল হোসেন (২৯)।
শনিবার এক প্রতারক ফোন করে জানান, দীঘির বিকাশ অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা ভুলবশত চলে গেছে। এর পর অন্য এক প্রতারক তাকে ফোন করে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে কৌশলে তার বিকাশ অ্যাকাউন্টের সব তথ্য নিয়ে অ্যাকাউন্টে থাকা এক লক্ষ ৬২ হাজার ছয় শত ২৩ টাকা হাতিয়ে নেয়।
দীঘি শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করলে ডিসি, ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগরীর মিরপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। পরে হাতিয়ে নেয়া টাকাসহ দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে গিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা বুঝে নেন জনপ্রিয় এ অভিনয়শিল্পী। এসময় নায়িকার সঙ্গে ছিলেন তার বাবা অভিনেতা সুব্রত বড়ুয়া এবং মামা ভিক্টর।
ডিবিপ্রধান হারুন আরও বলেন, একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্যরা ব্যক্তির অজান্তে ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করা সিম ব্যবহার করে। সিমগুলো দিয়ে বিকাশ বা নগদ কাস্টমার কেয়ারের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে কৌশলে টার্গেট করা ব্যক্তিকে ফোনকল করে তার বিশ্বাস অর্জন করে।
তিনি বলেন, এরপর বিভিন্ন কথা বলার পর অবৈধভাবে টার্গেট ব্যক্তির বিকাশ নম্বরে লগইন করার জন্য তার নম্বরে ওটিপি পাঠিয়ে দেয় এবং টার্গেট ব্যক্তিকে তার মোবাইলে যাওয়া ওটিপি বলার জন্য অনুরোধ করে। নায়িকা দীঘি সরল বিশ্বাসে এবং তার বিকাশ অ্যাকাউন্ট সচল করা বা অন্য কোনো আশায় তার মোবাইলে আসা ওটিপি বলে দেয়।
এরপর প্রতারক চক্র দীঘির অ্যাকাউন্টে লগইন করে ভুয়া নামে বিকাশ রেজিস্ট্রেশন করা নম্বর দিয়ে টাকা তুলে নেয়। পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই টাকা নগদ উত্তোলন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করে। এভাবে দেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষ এসব চক্রের প্রতারণার শিকার হচ্ছে বলেও জানান ডিবিপ্রধান।
এ ঘটনার সঙ্গে গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আইএ/ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪