শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

তদন্তের স্বার্থে ধর্ষিত নারীকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক::

ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলেম বলেছেন ভিকটিমকে আটকিয়ে রাখার বিষয় নয়, তিনি আমাদের সহযোগীতা করছে তদন্ত স্বার্থে। তিনি জানান, ভিকটিক কে ছিল সেটি মুখ্য বিষয় নয় অপরাধ কী হয়ছে এবং অপরাধীকে ধরার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যহত আছে। রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ কার্যালয়ে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম। আটকের বিষয়টি সঠিক নয়।

তিনি আরও জানান জবানবন্দির ভিত্তিতে অজ্ঞাত ৩ জনকে আটক করা হয় আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে ধর্ষণকান্ডের মূল অভিযুক্ত আশিক এখনও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আশিকসহ মূলহোতাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পাশাপাশি সামগ্রিক পর্যটন অবস্থা ভালো মন্তব্য করে অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, যেকোন সমাজে অপরাধ সংগঠিত হতে পারে এর জন্য বিচার আদালত আছে এবং কক্সবাজারকে পূর্বের ন্যায় নিরাপদ পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে কক্সবাজার সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামীমুন তানজিনের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ওই নারী অভিযোগ করেছিলেন, বুধবার বিকালে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে তারা বেড়াতে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন।
এরপর তাকে নেওয়া হয় কলাতলীতে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। পরে র‌্যাব এসে তাকে উদ্ধার করে।

চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণের ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভিকটিমের স্বামী।

এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, আশিকুর রহমান ও তার তিন সহযোগী ই¯্রাফিল খোদা ওরফে জয় ও মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। আসামিদের মধ্যে জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

এদের মধ্যে প্রধান আসামি আশিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ইয়াবা অস্ত্রসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। ই¯্রাফিল খোদা জয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।


আরো খবর: