বেইজিং, ৩১ জুলাই – শক্তিশালী টাইফুন ডকসুরির প্রভাবে টানা বর্ষণে লন্ডভন্ড চীন। প্রলয়ংকারী টাইফুনের প্রভাবে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদ-নদীর পানি। তলিয়ে গেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাটসহ ফসলি জমি। বাতিল করা হয়েছে অর্ধশতাধিত ফ্লাইট।
রোববারও চীনের রাজধানী বেইজিং, উত্তরাঞ্চলীয় হেনান, ফুজিয়ান ও শানঝি প্রদেশে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সড়কে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। গাছপালা এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তাঘাট ডুবে যাওযায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাণহানি এড়াতে চার লাখের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস। বন্যায় আটকে পড়াদের দ্রুত সরিয়ে নিতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। ভূমিধস ও বন্যার পূর্বাভাস দেয়ার পাশাপাশি বেইজিংয়ে রেড অ্যালার্ট ও হেনান প্রদেশে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
ফ্লাইট বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এয়ারপোর্টের ব্যবস্থাপনা কমিটি। তারা জানায়, জারি রয়েছে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘রেড অ্যালার্ট’। রানওয়ে থেকে পানি অপসারণের পাশাপাশি যাত্রীদের ফ্লাইট বাতিলের বিষয়ে অবহিত করা হচ্ছে। তাছাড়া, নতুন শিডিউল বা বিকল্প যাতায়াতের তথ্যও সরবরাহ করা হচ্ছে এয়ারপোর্ট থেকেই।
অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো অনলাইন বা সরাসরি রিফান্ড করছে টিকিটের অর্থ। অথবা, যাত্রীদের চাহিদা অনুসারে সমন্বয় করা হচ্ছে শিডিউল। একইদিন, রাজধানীর ডাক্সিং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পরিচালিত হয়েছে ৮৬৭টি ফ্লাইট। যাতায়াত করেন এক লাখ ৪২ হাজার যাত্রী।
গত বুধবার (২৬ জুলাই) ফিলিপিন্সের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে শক্তিশালী টাইফুন ডকসুরি। পরদিন তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলে আছড়ে পড়ে ঝড়টি। তাইওয়ান ও ফিলিপিন্সের পর শুক্রবার (২৮ জুলাই) চীনে আঘাত হানে ডকসুরি। সূত্র: সিনহুয়া নিউজ, আল জাজিরা
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ৩১ জুলাই ২০২৩