বাজার স্থিতিশীল রাখতে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হচ্ছে পেঁয়াজের বড় বড় চালান। চলতি অক্টোবর মাসে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে সাড়ে সাত হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে এসেছে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আরও কয়েক হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মিয়ানমার থেকে ২৮ হাজার বস্তায় ৮০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ নিয়ে আটটি ট্রলার বন্দরে পৌঁছে। শ্রমিকরা পাঁচটি পয়েন্টে পেঁয়াজের বস্তাগুলো ট্রলার থেকে খালাস করে ট্রাকে বোঝাই করেছেন। পেঁয়াজভর্তি ট্রাকগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, চলতি মাসে এ পর্যন্ত ১০-১২ জন ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে সাত হাজার ৫২২ দশমিক ৭৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। সেপ্টেম্বরে দুই হাজার ৯৮৮, আগস্টে ৭৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।
আমদানিকারকরা বলেন, এবারও পণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছি।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ‘মূলত ভারতের ওপর নির্ভর করে ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন। কিন্তু আমরা তেমন লাভবান হচ্ছি না। তাছাড়া এনবিআর পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করলেও এখানে সেটি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।’
জানতে চাইলে টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করছেন। তাছাড়া পেঁয়াজ পচনশীল হওয়ায় ২৪ ঘণ্টা ডেলিভারি দিচ্ছি। যাতে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক থাকে। শুক্রবারও আমরা ৫০০ টন পেঁয়াজ ডেলিভারি দিয়েছি।’