শিরোনাম ::
হোলির জন্য ভারতে বহু মসজিদে পিছিয়ে দেওয়া হলো জুমার নামাজ কসবা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে নতুন বিওপি স্থাপন বিজিবির দেশ রক্ষায় মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র ভবিষ্যতে স্বাধীন ডেটা অথরিটির অধীনে যাবে জার্মানির ভিসার অপেক্ষায় ৮০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকের বোনাস-বেতন পরিশোধ করতে হবে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্যমূল্যে রেশন সুবিধার দাবি নবরুপে ফ্যাসীবাদের জন্ম হলে এ প্রজন্ম মেনে নেবেনা-মুহাম্মদ শাহজাহান চিত্রনায়িকা পরীমণির সাবেক স্বামী সৌরভ গ্রেপ্তার শেখ হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে পূর্বাচল প্লট জালিয়াতির যে ব্যাখ্যা দিলেন জয়
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

টেকনাফে সাগরপথে পাচারকালে ১১ রোহিঙ্গা উদ্ধার, ৪ দালাল আটক

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২

হেলাল উদ্দিন টেকনাফ::

সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টাকালে কক্সবাজারের টেকনাফে ১১ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করেছে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মহেষখালীয়াপাড়া এলাকার একটি ঘর থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এর আগে পাচারে জড়িত অভিযোগে একটি দালাল চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন এপিবিএনের সদস্যরা।

নয়াপাড়ার রেজিস্ট্রার্ড আশ্রয়শিবিরের ১৬ এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক রাজু আহমেদ বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দালাল চক্রের সদস্যদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি ও তিনজন রোহিঙ্গা রয়েছেন।

তাঁরা হলেন—টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিলের রবিউল আলম (২০), উখিয়ার বালুখালীর জামতলী ১৫ নম্বর আশ্রয়শিবিরে আবদুর রশিদ (৩৬), উখিয়ার কুতুপালং বালুমাঠ আশ্রয়শিবিরের মো. আইয়ুব (২৬) ও উখিয়ার শফিউল্লাহকাটা আশ্রয়শিবিরে আমির হোসেন (৩৪)।

১৬ এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক রাজু আহমেদ বলেন, নয়াপাড়া আশ্রয়শিবিরের ২জন ও কুতুপালং বালুখালীর ৯জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টেকনাফের মহেষখালীয়াপাড়ায় জড়ো করেন চক্রের সদস্যরা।পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় পাচারকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোররাতে মহেষখালীয়াপাড়া এলাকার একটি ঘর থেকে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক রাজু আহমেদ বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টাকার বিনিময়ে মানব পাচার করে আসছিল। রোহিঙ্গা নাগরিকেরা এখন মানব পাচার চক্রের প্রধান লক্ষ্য। চক্রের সদস্যরা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ভালো চাকরি এবং রোহিঙ্গা নারীদের বিয়ের কথা বলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ রোহিঙ্গা শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল হালিম বলেন, মামলার পর গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ দুপুরের পর কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।


আরো খবর: