হেলাল উদ্দিন টেকনাফ ::
অবৈধভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক টমটম, ট্রাক মিনি ট্রাক ও ডাম্পারে রোহিঙ্গা চালক ও হেলপারেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের টেকনাফে। অদক্ষ এসব রোহিঙ্গা চালক ও হেলপারের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে, একই সঙ্গে যানজটও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। পৌর শহর টেকনাফ সহ উপজেলার হ্নীলা, বাহার ছড়া, সাবরাং, হোয়াইক্যং বাজারে রোহিঙ্গা চালকেরা দিন দিন বেপরোয়া।
এসব রোহিঙ্গা চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র ও বৈধ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে বিভিন্ন অপরাধের জন্য অবলম্বন করার পাশাপাশি দিকনির্দেশনামূলক অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ
সরেজমিনে দেখা গেছে, টেকনাফ পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে ইজিবাইক টমটম, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ট্রাক মিনি ট্রাক ও ডাম্পার চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং বৈধ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছে। এ সময় যেসব যানবাহন চালকদের লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্মনিবন্ধন পাওয়া যায়নি, তাদেরকে আটক এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, দেশের অন্যান্য উপজেলার চেয়ে টেকনাফে অনেকটা ভিন্ন। যার কারণ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা প্রতিনিয়ত টেকনাফ পৌর শহরের অলিগলি সহ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ইজিবাইক টমটম সহ সকল ধরনের যানবাহন চালাচ্ছে। আবার অনেকে এসব যানবাহন নিয়ে মাদক বহনও করছে। ফলে অদক্ষ রোহিঙ্গা চালক হেলপারের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও যেমন বাড়ছে, ঠিক তেমনি যানজটও বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
রোহিঙ্গা চালক হেলপার ও যানযট বিষয়ে জানতে চাইলে পথচারীরা জানান, রোহিঙ্গাদের মানবতা দেখিয়ে আমরা আমাদের পায়ে কুড়াল মেরেছি। আজ এ-সব রোহিঙ্গারা প্রতিনিয়ত আমাদের জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গারা যানবাহনের পাশাপাশি, মাদক, মানবপাচার, হুন্ডি, অপহরণ, গুম- খুনের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত রোহিঙ্গাদের সনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন পথচারীরা।
গত শনিবার থেকে পৌর শহরের বিভিন্ন মোড়ে টেকনাফ ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর ফারুক আল মামুন ভুইয়া ও এটিএসআই খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। চলমান অভিযানের অংশ হিসাবে ইজিবাইক টমটম সহ সকল যানবাহনের কাগজপত্র ও চালক হেলপারের জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন যাচাই-বাছাই করেছেন। গত কয়েক দিনের অভিযানে পৌর এলাকায় রোহিঙ্গা চালক বা হেলপারের সংখ্যা অনেকটা কমেছে। এরপরেও বিভিন্ন অলিগলিতে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন ট্রাফিক পুলিশ।
এসব রোহিঙ্গা চালক বা হেলপারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান টেকনাফ ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর ফারুক আল মামুন।
তিনি আরও জানান, ‘টেকনাফ ট্রাফিক পুলিশের চলমান অভিযানের অংশ হিসাবে ইজিবাইক টমটম, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ট্রাক মিনি ট্রাক ও জাম্পার চালক হেলপারের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন ও যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই-বাঁচাই করা হচ্ছে। কয়েক দিনের অভিযানে টেকনাফ পৌর এলাকায় রোহিঙ্গা চালক বা হেলপারের সংখ্যা অনেকটা কমে গেছে। শহরের অলিগলিতে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অভিযানের পর আগের তুলনায় ইজিবাইক টমটম অনেকটা কমে গেছে। তবে, রোহিঙ্গাদের সনাক্ত করা মাত্রই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।