বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

টেকনাফে পৃথক অভিযানে ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩

কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ লক্ষ ৩৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৫ হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে রহমানের স্লুইচ গেইট এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর হতে একটি বিশেষ টহলদল এবং নাজিরপাড়া বিওপি থেকে একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়ীবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। টহলদল দুইজন ব্যক্তিকে একটি পোটলা হাতে নিয়ে বেড়ীবাঁধ অতিক্রম করে সীমান্তের শূন্য লাইন হতে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বর্ণিত স্থানের দিকে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তিরা দূর থেকে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের হাতে থাকা একটি পোটলা ফেলে দিয়ে দ্রুত দৌড়ে নাফ নদীর পার্শ্বে ঘন কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া পুরাতন লুঙ্গি দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর থেকে ৯৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে টহলদল উক্ত এলাকায় সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এছাড়া অপরদিকে বুধবার (৯ আগস্ট) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার উত্তর দিকে আশিকানিয়া নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর এবং সাবরাং বিওপি থেকে দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়ীবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল
৩ জন ব্যক্তিকে দু’টি বস্তা কাঁধে নিয়ে নাফনদী পার হয়ে সীমান্তের শূণ্য লাইন হতে আনুমানিক ৬০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেড়ীবাঁধ অতিক্রম করে আশিকানিয়া লবন মাঠের দিকে আসতে দেখে। উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের কাঁধে থাকা বস্তাগুলো ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগে দ্রুত পার্শ্ববর্তী হাড়িয়াখালি গ্রামের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া ২টি প্লাষ্টিকের বস্তা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত বস্তার ভিতর থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় মধ্য রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত পৃথক অভিযানে মালিকবিহীন ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের ষ্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম গ্রহণ পরবর্তীতে তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।


আরো খবর: