শিরোনাম ::
গলায় ফাঁস দিয়ে ২ সন্তানের জননীর আত্মহত্যা পেকুয়ায় মহেশখালীতে মদ ভেবে কেমিক্যাল খেয়ে মাদক নির্মূল কমিটি সদস্যের মৃত্যু সেন্টমার্টিনকে বাঁচাতে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে : উপদেষ্টা টেকনাফে অভিযানে উদ্ধার তাজা রকেট হিট কানাডায় স্ত্রী ও সন্তানকে রেখেই তথ্য গোপন করে বিয়ের পিড়িতে কক্সবাজারের নুর! কক্সবাজার এসএসসি ৯৯ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে বেঙ্গল ৯৯ ও লিজেন্ড ফাইটার্স ৯৯ চকরিয়া’র শুভ সূচনা কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিশু খাদ্য বিতরণ সবার আগে নির্বাচনী সংস্কার দরকার মসজিদে নববীর আদলে করা হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ মাহমুদুর রহমান দেশপ্রেমের জীবন্ত প্রতীক
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

 জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১
 জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে


নিজস্ব প্রতিবেদক: জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


শেখ হাসিনা বলেন: দেশবাসীর শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য। আমরা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। কারণ এ সরকার দেশের মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়।


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ও মহান বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনী পর্বে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধায় সভাপতির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয় যৌথভাবে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।


রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দ সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।এসময় জাতির পিতার ছোট মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।


বাংলার মুক্তির সংগ্রামে সার্বিক সহায়তার জন্য ভারতের অবদানের কথা পুণরায় স্মরণ করে শেখ হাসিনা সুবর্ণ জয়ন্তীর এই উদযাপনে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন: ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ সম্মানিত অতিথি হিসেবে এই গৌরবগাঁথার দিনে আমাদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন। আমি তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।


শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী স্বাগত বক্তৃতা করেন।


করোনার কারণে এর আগে না পারলেও আজকে বিজয়ের উৎসব ব্যাপকভাবে দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে উদযাপিত হওয়ায় তিনি দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন: এবার আমরা নতুন উদ্যমে আমাদের বিজয়ের উৎসব করেছি এবং এই উৎসব শুধুমাত্র উৎসব নয়, এ উৎসব আমাদেও আগামী দিসের চলার পথের প্রতিজ্ঞা- বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে ইনশাল্লাহ আমরা গড়ে তুলবো।


জাতির পিতার রেখে যাওয়া স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন: জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করাই তার লক্ষ্য এবং আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূতি হলো। এই সময়ে আমরা কতটুকু এগোতে পেরেছি সেটাই বড় কথা।


শেখ হাসিনা বলেন: তার সরকার দারিদ্রের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে, মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৫শ ৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি দেশের প্রতিটি গৃহহীনকে ঘর করে দেয়ার কর্মসূচী সরকার অব্যাহত রেখেছে।


জাতির পিতার যে স্বপ্ন- দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর- তা তার সরকার পূরণ করতে পারবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন: করোনাভাইরাস সরকারের এগিয়ে যাওয়ার পথে অনকেটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও এই কোভিড-১৯কে নিয়ন্ত্রণ করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সরকার সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন: স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ জাতির পিতার পররাষ্ট্র নীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়,’ অনুসরণ করেই সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। জাতির পিতার সেই পররাষ্ট্র নীতি মেনেই সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখে আমরা আমাদেও উন্নয়নের চাকাকে সচল রেখেছি।


শেখ হাসিনা বলেন: ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য ছিল, তার সরকার উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভের মধ্যদিয়ে সেটা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এখন লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা।


সাননিউজ/এএএ




আরো খবর: