বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চার দেশের ১৪ ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার খড়গ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩
চার দেশের ১৪ ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার খড়গ


ওয়াশিংটন, ২২ ডিসেম্বর – আবারও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খড়গ। এবার চার দেশের ১৪ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অগণতান্ত্রিক আচরণের অভিযোগে এসব ব্যক্তির নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চার দেশর ১৪ ব্যক্তির ওপর নিশষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতি ও অগণতান্ত্রিক আচরণের অভিযোগে সেকশন ৩৫৩ অনুসারে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা হলেন নিকারাগুয়ার চারজন, গুয়েতেমালার চারজন, হন্ডুরাসের ও সালভাদরের তিনজন করে ছয়জন রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেডারেল রেজিস্ট্রারের প্রকাশিত তালিকায় যেসব ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়াকে অবজ্ঞা এবং গুরুত্বপূর্ণ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। এসব ব্যক্তিরা গুয়েতেমালা, নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস ও এল সালভাদরে এমন কর্মকাণ্ড করেছেন। নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে এসব ব্যক্তিরা স্বাভাবিকভাবে ভিসা ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না।

এর আগে বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এবার নতুন করে ১০ কোম্পানি ও চার ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার ইরানে ড্রোনের জন্য বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ কোম্পানির বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব কোম্পানি দেশটির সাথে ড্রোনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায় সংযুক্ত রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, তারা তেহরানকে সংবেদনশীল সরঞ্জাম পাঠানোর অভিযোগে বিদেশি কয়েক কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের তৈরি বিভিন্ন বেনামি ড্রোন মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞায় আওতায় রয়েছে ১০ কোম্পানি ও চার ব্যক্তি। এসব ব্যক্তি ও কোম্পানি সংশ্লিষ্ট ফার্ম মূলত মধ্যস্থতাকারী, সম্মুখসারি আবার কোনোটা কাঁচামাল সরবরাহ করে আসছে। এগুলো হলো ইরানি, মালয়েশিয়া, হংকং ও ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি প্রতিষ্ঠান।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, এ নেটওয়ার্ক মিলে হাজার হাজার ডলারের বিদেশি সরঞ্জাম ইরানের ইসলামিক রেভলুশনারি গার্ডের মহাকাশ গবেষণা দলকে সহযোগিতা করছে। এ দলটি মূলত ইরানভিত্তিক অস্ত্র ও যুদ্ধসরঞ্জাম তৈরি করে আসছে।

মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্রিয়ান নেলসন এক বিবৃতিতে জানান, মধ্যপ্রাচ্য ও রাশিয়ায় ইরানের উৎপাদিত অবৈধ বেনামি ড্রোন উৎপাদনে উত্তেজনা বাড়ছে ও সংঘাত দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ফলে স্থিতিশীলতাও নষ্ট হচ্ছে।

সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ২২ ডিসেম্বর ২০২৩





আরো খবর: