লন্ডন, ০৭ মে – রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেককে কেন্দ্র করে মাতোয়ারা ব্রিটেন। অপারেশন গোল্ডেন অর্বের দিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। রাজার হাতে রাজদণ্ড, স্বর্ণগোলক ও রাজকীয় তরবারিসহ একাধিক প্রতীকী ভূষণ তুলে দেওয়া হয়। মাথায় পরানো হয় রাজমুকুট। চোখ ঝলসে দেওয়া বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের প্রায় ২ হাজার অতিথি।
তবে ব্রিটিশ রাজার রাজ্যাভিষেকে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে ৫টি জিনিসি। বার্তা সংস্থা এপি অবলম্বনে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক সেই ৫টি জিনিসের বিষয়ে—
করোনেশন চেয়ার : ওক কাঠের তৈরি ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি দীর্ঘ চেয়ারটি ১৩০৮ সাল থেকে প্রতিটি করোনেশনের অংশ। অর্থাৎ প্রায় ১ বছরের রাজ ঐতিহ্যকে স্পর্শ করবেন চার্লস। স্বাভাবিকভাবেই সেই চেয়ারের দিকে নজর সকলের।
করোনেশন স্পুন : স্বর্ণখচিত রূপার করোনেশন চামচটি ইংল্যান্ডের গৃহযুদ্ধের একমাত্র স্মারক। ১৬৪৯ সালে রাজা প্রথম চার্লসের মৃত্যুর পর এই সেটের বাকিগুলো হয় গলিয়ে ফেলা হয়েছে, নয় তো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। রয়ে গেছে এই সাড়ে ১০ ইঞ্চির চামচটি।
কালিনান হিরে : ২ স্টোন কাট এই হিরে আজ পর্যন্ত প্রাপ্ত সবচেয়ে বড় ‘রাফ ডায়মন্ড’। করোনেশনের অন্যতম এই হিরেকে ঘিরে বিতর্কও রয়েছে। ১৯০৫ সালে এটি পাওয়া গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার শোষণের নিদর্শন এই হিরেও এদিনের করোনেশনের অন্যতম আকর্ষণীয় এক উপাদান।
সেন্ট এডওয়ার্ড’স ক্রাউন : ওজন ৪ দশমিক ৬ পাউন্ড অর্থাৎ ২ দশমিক শূন্য ৮ কেজি। ১৬৬১ সালে রাজ্য দ্বিতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকের জন্য নির্মিত এই মুকুটই এদিন পরানো হবে চার্লসকে।
গোল্ড স্টেট কোচ : কাঠের উপরে সোনার পাত লাগানো এই ঘোড়াচালিত গাড়ি ১৭৬২ সাল থেকে রাজ পরিবারের সঙ্গী। ১৮৩১ সাল থেকে প্রতিটি করোনেশনেই দেখা মেলে এই ঐতিহ্যবাহী গাড়িটির। এদিন এই গাড়ি করেই বাকিংহাম প্যালেসে ফেরেন চার্লস-ক্যামিলা।
সূত্র: আরটিভি
এম ইউ/০৭ মে ২০২৩