শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চাকমারকুলে ১০টি মাদকের আস্তানায় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অভিযান, ১০০ লিটার মাদক সহ আটক ১

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০২২

সোয়েব সাঈদ, রামু::

রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের ১০টি মাদকের আস্তানায় অভিযান চালিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার। এসব অভিযানে ১০০ লিটার মাদক জব্দ এবং ১ জনকে হাতে নাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চাকমারকুল ইউনিয়নের শাহমদেরপাড়া, শ্রীমুরা, নয়াপাড়া, পূর্ব মোহাম্মদপুরা এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়। চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদারের নেতৃত্বে পরিষদের সদস্য, মহিলা সদস্য ও দফাদার ও চৌকিদারগণ এ অভিযান চালান।
অভিযান চলাকালে এসব আস্তানায় থাকা মাদক ব্যবসায়ি ও সেবনকারিরা পালিয়ে যান। পরে টং ঘরের আদলে নির্মিত কয়েকটি আস্তানা (টং ঘর) পুড়িয়ে দেয় জনতা। এসময় সেখান থেকে ১০০ লিটার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদক বিক্রিতে জড়িত জয়নাল নামের এক ব্যক্তিকে মাদকসহ আটক করা হয়। অভিযান চলাকালে রামু থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করা মাদক ও ধৃত ব্যক্তিকে আটক করে রামু থানায় নিয়ে যান।
অভিযানে চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার ছাড়াও রামু থানার এসআই নাজমুল হাসান, ইউপি সদস্য রাশেদুল হক রাসেল, ছৈয়দ নুর, সাহাব উদ্দিন, নুরুল ইসলাম নুরু, মহিলা ইউপি সদস্য আল মর্জিনা, গুলজার বেগম, মরিয়ম বেগম, চাকমারকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠকি সম্পাদক ফরিদুল আলম, আওয়ামীলীগ নেতা ছৈয়দ নুর, আদর মিয়া এবং পরিষদের সকল দফাদার-চৌকিদারসহ এলাকার সর্বস্তুরের জনতা অংশ নেন।
চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার জানিয়েছেন- ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য সিন্ডিকেট টং ঘরের আদলে আস্তানা বানিয়ে তাতে মদ, তারি, ইয়াবা সহ মাদকদ্রব্য বেচা-কেনা ও সেবন করে আসছে। এতে একদিকে যেমন এলাকার যুব সমাজ ধ্বঃস হচ্ছে, তেমনি সামাজিক অপরাধও বেড়ে গেছে। তাই এসবের বিরুদ্ধে তিনি পুরো পরিষদকে কাজে লাগিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।
চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার আরো জানান- নির্বাচনী ওয়াদা মতে তিনি পুরো চাকমারকুল ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। পর্যায়ক্রমে মদ, তারি, ইয়াবা সহ সকল প্রকার মাদকের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করে যাবেন। যে কোন মূল্যে তিনি চাকমারকুল ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করবেন। পাশাপাশি সকল প্রকার অপরাধ দমন এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায়ও তিনি প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য গত ৩ মার্চ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার মেম্বার ও চৌকিদারদের নিয়ে ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বণিকপাড়া এলাকায় আরো একটি মাদকের আস্তানায় অভিযান চালান। টংঘরের আদলে নির্মিত ওই আস্তানাটি পুড়িয়ে দেয় জনতা। এসময় সেখান থেকে ২০ লিটার বাংলা মদ উদ্ধার করা হয়। ওই এলাকার শাইর মোহাম্মদের ছেলে হাছান আলী প্রকাশ বাইট্টা হাছান ওই টং ঘর বানিয়ে তাতে রমরমা মদের আসর ও বেচা-কেনা করে আসছিলো। এনিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে তিনি পরিষদের মেম্বার ও চৌকিদারদের নিয়ে অভিযানে যান। অভিযান চলাকালে হাছান আলী সহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।
এছাড়াও গত ১ মার্চ রাতে রামু থানা পুলিশ ওই এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাছান আলীর ভাই ডেকোরেশন দোকান মালিক আবদু শুক্কুরকে ইয়াবা ও বাংলা মদ সহ আটক করে।
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদারের এমন সাহসী অভিযানের প্রশংসা করে এলাকাবাসী এমন অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ- দীর্ঘদিন অসংখ্য সিন্ডিকেট মদ, তারি, ইয়াবা সহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে পুরো এলাকা মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। অবশেষে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদারের সাহসী পদক্ষেপ এর ফলে এলাকাটি মাদকমুক্ত হবে। এজন্য এলাকাবাসী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


আরো খবর: