শিরোনাম ::
ঢাকা আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন মারা গেছেন বৈরুতে আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৫ পরীমণির প্রয়াত প্রথম স্বামী, কে এই ইসমাইল? চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছে বছরে ৪ বিলিয়ন ডলার খুনিদের গোড়া থেকে নির্মূল না করলে আবার ষড়যন্ত্র করবে রোহিঙ্গা তরুণদের ‘ইয়ুথ মুভমেন্ট ফর আরাকান’ এ স্বদেশ ফেরার আকুতি বাংলাদেশের তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক চকরিয়ায় মহাসড়কে গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত চকরিয়া পেকুয়ার প্রবাসি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকল্পে হেল্পডেক্স চালু
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চলে গেলেন জাপানের কেনজাবুরো ওয়ি, যিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন নোবেল

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩
চলে গেলেন জাপানের কেনজাবুরো ওয়ি, যিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন নোবেল


জাপানের নোবেলজয়ী সাহিত্যিক কেনজাবুরো ওয়ি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। গত ৩ মার্চ ৮৮ বছর বয়সে রাজধানী টোকিওতে তিনি মারা বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন তার প্রকাশক কোদানশা। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।

সাহিত্য শাখায় জাপানকে দ্বিতীয়বারের মতো নোবেল পুরস্কার এনে দিয়েছিলেন কেনজাবুরো ওয়ি; তবে পুরস্কার পেলেও বিশেষ কারণে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি।

মনেপ্রাণে অহিংসা ও শান্তিবাদী কেনজাবুরো ওয়ি কবিতা-গল্প-উপন্যাস লেখার পাশাপাশি নিয়মিত পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান চালিয়েছেন। এমনকি জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে যখন দেশটির শান্তিবাদী সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তখন দৃঢ়ভাষায় তার প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন তিনি।

জাপানের মূল দ্বীপগুলোর মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে ছোট শিকোকুতে ১৯৩১ সালে জন্ম নেন ওয়ি। সাত ভাইবোনোর মধ্যে তৃতীয় ছিলেন তিনি। ১৯৪৪ সালে পিতার মৃত্যুর পর মায়ের অভিভাবকত্বে বড় হন তিনি।

শৈশবেই ওয়ির মধ্যে সাহিত্য সম্পর্কে আগ্রহ জাগিয়ে তুলেছিলেন তার মা। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরাসি সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করা কেনজাবুরো ওয়ির লেখালেখির শুরু ছাত্রাবস্থাতেই। ১৯৫৮ সালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় জাপানের বিখ্যাত আকুয়াতাগা সাহিত্য পুরস্কার পান, তারপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

১৯৬০ সালে জাপানের চিত্রপরিচালক জুজো ইতামির বোন ইউকারি ইতামিকে বিয়ে করেন ওয়ি। এ দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন হিকারি, যিনি দীর্ঘদিন মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন।

ওয়ির পুরো সাহিত্যজীবনে দুটো বিষয় গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়ে জাপানে পারমাণবিক বোমা হামলা এবং তার ছেলে হিকারি। অনেক বয়স হওয়ার পরও মানুষজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও সামাজিক যোগাযোগে জড়তা কাজ করত হিকারির মধ্যে। তবে ছোটো থেকেই সঙ্গীতে আগ্রহ ছিল তার এবং বর্তমানে হিকারি জাপানের একজন সফল সুরকার।

নিজের লেখা উপন্যাস ‘একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার’-এর (এ পারসোনাল ম্যাটার) সুবাদে ২০১৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন ওয়ি; কিন্তু জাপানের রীতি অনুযায়ী দেশটির সম্রাটের কাছ থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করতে হতো বলে তা বর্জন করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে পরে এক সাক্ষাৎকারে ওয়ি বলেছিলেন, আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি- গণতন্ত্রের চেয়ে শক্তিশালী ও মর্যাদাসম্পন্ন কোনো শক্তির অস্তিত্ব এই পৃথিবীতে নেই।

সূত্র: যুগান্তর
আইএ/ ১৩ মার্চ ২০২৩





আরো খবর: