বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চকরিয়া সড়কে নিহত ৬ ভাইয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়াল উপজেলা আ.লীগ সম্পাদক

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ছয় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। এসময় তিনি ছয় পরিবারের হাতে দেড় লাখ টাকা নগদ অর্থও তুলে দেন এবং সমবেদনা জানান।

শনিবার (২৬ ফেব্রæয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটস্থ হাসিনা পাড়ার সদ্য প্রয়াত সুরেশ চন্দ্র সুশীলের বাড়িতে যান। চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী জানান, একই পরিবারের ছয় ছয়টি তাজা প্রাণ ঝড়ে যাওয়া খুবই বেদনাবিধুর এবং নজিরবিহীন। দেশের ইতিহাসে ইতোপূর্বে আর ঘটেছে কিনা জানিনা। আমি এই মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, অসহায় পরিবারগুলোর পাশে সামান্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে এসেছি। এই পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে তা আর্থিক সহায়তা দিয়ে পুষিয়ে দেয়া সম্ভব না। এসময় তিনি যার অবস্থান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এই পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহবান জানান। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নিচ্ছেন। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় সাথে ছিলেন- চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এম.আর চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মিজবাহউল হক, পৌরসভা কৃষক লীগের সভাপতি সুলাল কান্তি সুশীল, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল আমিন, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কলিম উল্লাহ কলি, ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.হেলাল উদ্দিন ও পৌর কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিব প্রমুখ।

চকরিয়ায় ছয় ভাইয়ের মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে মনে করেন রানা দাশগুপ্ত…. শুক্রবার (২৫ ফেব্রæয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এ ঘটনার বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এতে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গাড়ি চাপায় একই পরিবারের ছয় ভাইয়ের মৃত্যু কোনরুপ দূর্ঘটনা নয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ঘটনার পরপরই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্তৃক তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি এসময় তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করে বলেন, ঘটনাটির বস্তুনিষ্টভাবে তদন্ত করা হউক। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন এবং এই ঘটনার সাথে কারা কারা জড়িত তা বের করা হউক।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী প্লাবন সুশীল ঘটনার আকস্মিকভাবে অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো। ঘটনারদিন চকরিয়া থানায় রাত ৭টায় উপস্থিত হয়ে এজাহার দায়েরের যে বিষয়টি উত্তাপন করা হয়েছে তা বাস্তবতার সাথে সম্পূর্ণ বিপরীত। এজাহারে বর্ণিত মতে কথিত এজাহার দায়েরের সময় প্লাবন সুশীলের সঙ্গে যাওয়া তার কাকা সন্তোষ কুমার সুশীলের সাথেও আমরা কথা বলেছি। তিনি ষ্পষ্টভাবে বলেছেন, কম্পিউটারে টাইপকৃত কথিত এজাহারে মালুম হাইওয়ে থানা পুলিশ নিজেদের যোগসাজশে লেখা। সেখানে কি লেখা আছে তা তাদের পড়তে দেয়া হয়নি বা তাদের সাথে এব্যপারে কোন আলাপও করেনি।

অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত আরও বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ সৎকারের যে আবেদন মালুমঘাট হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে করা হয়েছে তা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কেউ স্বাক্ষর করেনি। একটি কাগজে হাইওয়ে থানা কর্তৃপক্ষ সন্তোস কুমার সুশীল ও উদয়ন শর্মা নামের দুই ব্যক্তির স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। ওই কাগজে কি লেখা ছিলো ওই দুই ব্যক্তি বিষয়টি অবগত ছিলেন না।

উল্লেখ্য, মৃত বাবা সুরেশ চন্দ্র সুশীলের শ্রাদ্ধনুষ্টান পূর্ব ক্ষুদান্ন দান করতে হিয়ে গত ৮ ফেব্রæয়ারি ভোর সাড়ে ৫টায় সবজি বোঝাই একটি পিকআপ চাপায় একই পরিবারের ছয় ভাই অনুপম সুশীল, নিরুপম সুশীল, চম্পক সুশীল, দিপক সুশীল, স্মরণ সুশীল ও রক্তিম সুশীল নিহত ও প্লাবন সুশীল ও কোন হীরা সুশীল গুরুতর আহত হন। বর্তমানে বোন হীরা সুশীল মালুমঘাটস্থ মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


আরো খবর: