শোকার্ত মানুষের ঢল
এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া::
চকরিয়া সরকারি বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জালাল উদ্দীন কোম্পানির নামাজে জানাজা। মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় অনুষ্ঠিত নামাজে জানাজায় বান্দরবান জেলা, চকরিয়া উপজেলা, লামা উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, ছাড়াও ফাইতং ইউনিয়ন ও মরহুমের গ্রামের এলাকা লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনসাধারণ অংশ নেন।
আগেরদিন সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন লামা উপজেলার ফাইতং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জালাল উদ্দিন কোম্পানি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ১ স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত মরহুম জালাল উদ্দিন কোম্পানির বিশাল জানাযার নামাযে ঈমামতি করেন বায়তুশ শরফের সাবেক পীর মরহুম কুতুব উদ্দিন (রহঃ) এর প্রিয় ভাগিনা, চুনতী ১৯ দিন ব্যাপী সিরাত মাহফিলের প্রধান উপদেষ্টা, মৌলানা নাছির উদ্দিন (ম. আ.)। এসময় নামাজ জানায়ায় অংশ নেন বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বান্দারবান পৌর মেয়র ইসলাম বেবি, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুর রহিম, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাতুয়াইছিং মার্মা, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান, ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, আজিজ নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, লামা সদর ইউপির চেয়ারম্যান মিন্টু কান্তি দাশ, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম, লামা রুপশীপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান চাচিং মার্মা, লক্ষারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষারচর ইউপি চেয়ারম্যান খ ম আওরঙ্গ বুলেটসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী ও ফাইতং ইউনিয়ন, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনসাধারণ।
ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন কোম্পানি ছিলেন চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের বিশিষ্ট ঠিকাদার ও সমাজ সেবক ফরিদুল আলম (সিআইপি) এর ছোট ভাই এবং লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মানিক এর বড় ভাই।
মরহুম জালাল উদ্দিন চেয়ারম্যান ছিলেন ফাইতং ইউনিয়নের পাহাড়ি বাংগালী ও বিভিন্ন শ্রেণীর উপজাতি সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। তাহার মৃত্যুতে ফাইতং ইউনিয়ন সহ পুরো লামা উপজেলা ও তাহার জন্ম স্থান চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন সহ আশপাশের এলাকার জনগণের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ফাইতং ইউনিয়ন সহ পাহাড়ি অঞ্চলের হাজার হাজার বাঙ্গালী ও উপজাতি তার বাড়িতে এসে লাশ রাখা গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ও কলেজ মাঠে জানাযার সময় বিলাপ করে কান্নাকাটি করে ছোখের জল ফেলতে দেখা গেছে। লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়ন ও চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন সহ আশপাশের সাধারণ লোকজনের মুখে শুনা যায় মরহুম জালাল উদ্দিন চেয়ারম্যান ব্যক্তি জীবনে খুবই সহজ সরল ও ত্যাগী মানুষ ছিলেন, তাহার কাছে মানবিক সাহায্য সহযোগিতা চাওয়ার জন্য গিয়ে কোন লোক খালি হাতে ফেরত আসেনি। সাধারণ জনগণের কাছে তিনি খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। ##