নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পাওনা সাড়ে ৮ লাখ টাকা আদায়ে আদালতে মামলা করায় বাদীকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে উল্টো হয়রানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার বাদি ও টাকা পাওনাদার চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের হালাকাকারা জালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খতিজা বেগম সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন আদালতের কাছে সুবিচার কামনা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী খতিজা বেগম দাবী করেন, আমার সন্তানদের ভবিষ্যতের বিষয়টি চিন্তা করে আমি গত বছর আমার ক্রয়কৃত একটি জমি ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করি। ওই টাকা দিয়ে ব্যাংক ডিপোজিট করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এরইমধ্যে আমার বাড়ির পাশের বাসিন্দা রাজিয়া বেগম আত্মীয়তার সুবাদে কিছুদিনের জন্য জন্য আমার কাছে কিছু টাকা হাওলাত চান। তখন আমি তাকে বলি, টাকা দিব, তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। সেই কথায় একটি তিনশত টাকার নন জুড়িসিয়াল স্ট্যাম্প ও একটি ব্যাংক চেক আমানত হিসেবে রেখে রাজিয়া বেগম আমার কাছ থেকে ব্যবসায় বিনিয়োগ করার জন্য ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাওলাত নেন।
ভুক্তভোগী খতিজা বেগম বেশ, টাকা নেয়ার প্রায় দেড় বছর অতিবাহিত হলেও রাজিয়া বেগম আমার টাকা ফেরত প্রদানে নানাভাবে অনিহা প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় আমি জামানত হিসেবে দেওয়া রাজিয়া বেগমের ব্যাংক চেক নিয়ে এনসিসি ব্যাংক চকরিয়া শাখায় টাকা উত্তোলন করতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি একাউন্টে টাকা নেই। পরে আমি চেকের বিষয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই৷ তবে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় চেকটি ব্যাংক কতৃক ডিজঅনার করে অভিযুক্ত রাজিয়া বেগমের বিরুদ্ধে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এনআই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারা মোতাবেক একটি মামলা দায়ের করি৷
মুলত আমার পাওনা টাকা আদায়ের জন্য আদালতে মামলা দিয়েছি বলেই উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত রাজিয়া বেগম ও তাঁর স্বামী, নিকট স্বজন এবং একটি সিন্ডিকেট চক্র মিলে আমার সাড়ে ৮ লাখ টাকা আত্মসাত করার জন্যই কৌশলে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অযুহাত তুলে হুমকি ও মিথ্যা প্রপাগন্ডা ছড়িয়ে মানববন্ধন করে। আমার পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো প্রতারকের পক্ষহয়ে কিছু সুবিধাভোগী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।
ভুক্তভোগী খতিজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার টাকাগুলো আত্মসাত করার কৌশল হিসেবে তাঁরা আমাকে ঘায়েল করতে পরিকল্পিতভাবে আমার মৃত স্বামীকে জড়িয়েও নানাধরণের কথা বলা হচ্ছে। অথচ আমার স্বামী মারা যাওয়ায় আমি সংসার জীবন নিয়ে আরো অসহায় হয়ে পড়ি। তিনটি মেয়ে সন্তান নিয়ে আমি এখন অসহায়ভাবে দিনানিপাত করছি। রাজিয়া বেগমের লেলিয়ে দেয়া সাঙ্গপাঙ্গরা এখন নানাভাবে আমাকে এবং আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়েদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকিধমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমি পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পরিশেষে আমি পাওনা সাড়ে ৮ লাখ টাকা ফেরত পেতে এবং আমার সন্তানদের স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা পেতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে প্রতিকার কামনা করছি।