মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চকরিয়ায় সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানে শ্রেষ্ঠ জয়িতা ২২ পুরস্কার পেলেন জিনিয়া মুছা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২

এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া::

সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি পেয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার আত্মপ্রত্যয়ী নারী সংগঠক জিনিয়া মুছা। একজন নারী হয়ে তিনি একসঙ্গে সংসার জীবন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দেখভাল আবার ক্ষুদ্র উদোক্তা হিসেবে নিজের প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টিশীল পন্য সমুহ ঠিকমতো বাজারজাত করার মধ্যেদিয়ে গ্রাহকদের মননে স্থান পাওয়া সবই করছেন তিনি। আর এসব সমাজ উন্নয়নধর্মী কাজের বদৌলতে এবছর কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সৃষ্টিশীল নারী সংগঠক জিনিয়া মুছাকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা ২০২২ পুরস্কারে ভূষিত করেছেন।

শুক্রবার ৯ ডিসেম্বর কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস ২০২২ এর অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ সমাজ উন্নয়ন, শ্রেষ্ঠ শিক্ষা, শ্রেষ্ঠ জননী, শ্রেষ্ঠ নারী নির্যাতন প্রতিরোধারী ও শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী ক্যাটাগরীতে নির্বাচিত পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে পুরস্কার ও সমমনা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদি ও বিশেষ অতিথি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বিজয়ী পাচ শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরস্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেন।

চকরিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাকেরা শরীফ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, নারী উন্নয়ন ফোরামের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

চকরিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্সকর্তা শাকেরা শরীফ বলেন, বেগম রোকেয়া দিবস ২০২২ উপলক্ষে চকরিয়া উপজেলা থেকে পাচজন নারী পাচটি ক্যাটাগরীতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানে জিনিয়া মুছা, অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতে ফাতেমা বেগম রানী, রত্মগর্ভা হিসেবে লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের এমইউপি বেবি আক্তার, শিক্ষা ও চাকুরী ক্যাটাগরীতে
জান্নাতুল মাওয়া লাকী এবং নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করে ঘুড়ে দাঁড়ানো একজন পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরস্কার।

চকরিয়া উপজেলা থেকে চলতি ২০২২ সালে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে শেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন জিনিয়া মুছা। তিনি চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছার সহধর্মিণী।
সফলতা প্রসঙ্গে জিনিয়া মুছা বলেন, নারী জাগরনের অগ্রদূত, ঊনবিংশ শতাব্দীর কালজয়ী খ্যাতিমান বাঙ্গালী সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক বেগম রোকেয়া দিবসের বিশেষ দিনে সম্মাননা প্রদান করা হয় সমাজে অসামান্য অবদান যারা রেখেছেন,তাদের। এই ক্যাটাগরি তে শ্রেষ্ঠ_জয়ীতা সম্মাননায় ভূষিত করায় চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা ও শিশু অধিদপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

তিনি বলেন, মহিয়সী নারি রোকেয়া,তাঁর ক্ষুরধার লেখনীতে ধর্মীয় গোড়ামী,কুসংস্কার ও নারীর বন্দিদশা থেকে মুক্তি এবং সমাজে নারী ও পুরুষের সমান মর্যাদা ও অধিকার এর কথা লিখে গেছেন।নারীকে অন্ধকার হতে আলোর পথে,এগিয়ে আসার উদ্ধার্ত আহব্বান জানিয়েছেন।
সেই সময়ে আমরা ছিলাম না,আমরা ভাগ্যবতী,আমাদের জন্ম স্বর্নযুগে।কেননা,৪র্থ শিল্পবিপ্লবের আজকের এই ক্ষণে দাঁড়িয়ে,এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব,থেমে নেই বাংলাদেশ ও।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রবোটিক অটোমেশনে এগিয়ে যাচ্ছে আজকের বংলাদেশ।ডিজিটাল প্রযুক্তির এই অগ্রযাত্রায়,সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের জন্য এটা আরো চ্যালেন্জিং। নিত্য নৈমিত্তিক যতই আমরা ট্যাকনোলজি কে ব্যবহার করতে পারব,ততই আমরা এগিয়ে যাব। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তখন (করোনাকালীন সময়ে পুরো বিশ্ব যখন স্তব্ধ) চকরিয়ার বুকে প্রথম নিজস্ব ই কমার্স সৃষ্টকরণের আমি পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিয়েছিলাম, এবং এটা বাস্তবায়ন এর জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম ছোট বোন সাজিয়া ও নাঈমা সিফাত কে।তাদের সহযোগীতায়। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ই কমার্স প্লাটফর্ম এর যাত্রা শুরু করি,এবং নানা ছড়ায় উৎরাই আজকের আত্নপ্রত্যয়ী সংগঠনের এই সোনালী অর্জন গুলো আমাদের কাজের মাধ্যমে,ঝুলিতে ভরে তুলছি,একে একে।

আজকের এইদিনে আত্নপ্রত্যয়ী সংগঠনের সকল ফাউন্ডার মেম্বার দের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ ও ঋণী। যার ই ফলশ্রুতিতে আমার জয়ীতা সম্মাননা,যা সকল সংগ্রামি নারীদের উৎসর্গ করলাম।তবে,এই অর্জনের নেপথ্য নায়ক আমার মরহুমা শিশুকণ্যা রুবামা_নুর_রাউধা। যার জন্যই আমার ২০১৯ সালে স্থায়ীভাবে চকরিয়া উপজেলায় চলে এসে চ্ট্টগ্রাম এবং পরবর্তী তে নারী সংগঠনের ও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টকরণের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। আজকের দিনে সবার কাছে আমার সন্তানের দোয়া চাই , আমার সাথে আছে সব সময়, তাই আজ আমি জয়ী,তার কারণে ই। সবার দোয়া ও অনুপ্রেরণা নিয়ে আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে চাই। ##


আরো খবর: