বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চকরিয়ায় নিহত সেই ৬ ভাইয়ের পরিবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত নতুন ঘর

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া::

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট এলাকায় ঘাতক পিকআপ গাড়ির চাপায় নিহত সেই ৬ ভাইয়ের পরিবার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্র“ত মুজিববর্ষের বিশেষ উপহার মাথাগোজার ঠাঁই হিসেবে একটি করে নতুন ঘর। দুর্ঘটনা পরবর্তী গেল ২৪ ফেব্র“য়ারী ঘটনাস্থলে শোকাহত পরিবারকে দেখতে এসে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.মামুনুর রশিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাৎক্ষনিক ঘোষনা দেন সরকারি অর্থসহায়তার পাশাপাশি হতাহতদের পরিবারকে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বিশেষ উপহার হিসেবে জমিসহ একটি ঘরে নতুন ঘর দেওয়া হবে।
এরই প্রেক্ষিতে তিনি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.রাহাত উজ জামানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এরপরই চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন মহাসড়কের সন্নিকটে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁিড়র পুর্বঅংশে সরকারি খাসজমিতে নিহত ৬ ভাই এবং তাদের পরিবারের জন্য মোট ৮টি নতুন ঘর নির্মাণ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ২১ জুলাই সকালে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিহত ৬ ভাই এবং একই দুর্ঘনায় আহত অপর দুই ভাই বোনের জন্য মোট ৮টি নতুন ঘরের চাবি ও জমির দলিলপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাবা সুরেশ চন্দ্রের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে চলতি ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট এলাকায় পিকআপ ভ্যানচাপায় ঘটনাস্থলে মারা যান অনুপম সুশীল (৪৬), নিরুপম সুশীল (৪০), দীপক সুশীল (৩৫), চম্পক সুশীল (৩০) ও স্মরণ সুশীল (২৯)। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরেক ভাই রক্তিম সুশীল (২৭)। ঘটনায় অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যান সুরেশ চন্দ্র সুশীলের মেয়ে মুন্নী সুশীল। আহত হন আরও দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
এদিকে গতকাল নিহত ছয় ভাইয়ের পরিবার ছাড়াও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে চকরিয়া উপজেলা থেকে মোট ৪০ ভুমিহীন পরিবারকে জমিসহ একটি করে নতুন ঘর দেওয়া হয়েছে। এদিন সকালে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.রাহাত উজ জামান, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সুরাজপুর মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- এ স্লোগানে সারাদেশের মতো চকরিয়া উপজেলায় ৪০ পরিবারকে নতুন ঘর ও ঘরের চাবি ও জমির দলিল ও খতিয়ান বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে একযুড়ে উপকারভোগী ভুমিহীন পরিবার গুলোর মাঝে হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দুইটি পর্যায়ে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৪৩০টি, তৃতীয় পর্যায়ের ২১০টি সহ মোট ৬৪০ পরিবারের মাঝে জমির দলিলসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পূর্ববড়ভেওলা ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪০ পরিবারে বিতরণের মধ্যদিয়ে সর্বমোট ৬৮০টি নতুন ঘর হস্তান্তর করা হলো।
উল্লেখ্য মহামড়কের মালুমঘাট এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৬ ভাই ও আহত দুইজন মিলে ৮ পরিবারে মাঝে মুজিববর্ষ ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হয়। পর্যায়ক্রমে যাচাই-বাচাই করে উপজেলার সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার নতুন ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে।##


আরো খবর: