রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চকরিয়ায় জলমহালে লবণ পানি ঢুকিয়ে মৎস্য চাষ ; ৫হাজার একর জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া জলমহালে লোনা পানি ঢুকিয়ে মৎস্য চাষ করার কারণে ৫ হাজার একর জমিতে চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। মুলত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রতিনিধিদের চোখে পাখি দিয়ে জলমহাল ইজারাদারেরা ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে মিঠা পানির খালে লোনা পানি ঢুকিয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের উত্তরাংশ ও ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণাংশ হয়ে প্রায় ২শ একর বিশিষ্ট ৬ কিলোমিটারজুড়ে জলমহালটির অবস্থান। শত বছর ধরে পশ্চিম বড় ভেওলা, ঢেমুশিয়া, কোনাখালী, বিএমচর, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার একর জমিতে এ জলমহালের পানি দিয়ে স্থানীয় কৃষকেরা ইরি বোরোসহ সবজি চাষ করে আসছে।
সরকার এ জলমহালটি ৩ বছরের জন্য মৎস্য চাষ করার লক্ষ্যে লীজ দিয়ে থাকে। গেল বছর এ জলমহালটি লীজ দিয়ে জেলা প্রশাসন ২৭ লাখ টাকা আয় করেছে। কিন্তু এই জলমহালে কোন ভাবেই লোনা পানি ঢুকিয়ে মৎস্য চাষ না করার শর্ত থাকলেও ইজারাদারেরা শর্ত ভঙ্গ করে মিঠা পানিতে পরিপূর্ণ খালে লোনা পানি ঢুকিয়ে এখন মৎস্য চাষ করে যাচ্ছে।

স্থানীয় কৃষকরা দাবী করেছেন, কয়েকমাস আগে লীজ গ্রহীতারা রাতের আধারে ঢেমুশিয়ার বাঁধ কেটে ও স্লুইচ গেইটের কপাট খুলে লোনা পানির ঢুকানোর কারণে ইরি ও বোরো চাষের জন্য কয়েক হাজার কৃষক বীজতলাও তৈরী করতে পারছেনা। লীজ গ্রহীতারা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অনেকটা নিশ্চুপ। অপরদিকে নাম প্রকাে অনিচ্ছুক একজন চেয়ারম্যান দাবী করেছেন নির্বাচনের সময় লীজ গ্রহীতারা ঢেমুশিয়া জলমহালে লোনা পানি ঢুকিয়েছে। এ পানি অপসারণ করা না হলে উপকূলের ৫ হাজার একর জমির ইরি বোরো ও সবজি চাষ করা দূরহ হয়ে পড়বে। একই কথা বলেছেন, ঢেমুশিয়ার কৃষক গিয়াস উদ্দিন ও সিদ্দিক আহমদ।

অপরদিকে লীজ গ্রহীতারা প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পানি আটকিয়ে রেখে এ পরিমাণ জমির আমন চাষেরও ক্ষতিসাধন করে থাকে। ঢেমুশিয়ার ছিদ্দিক আহমদ দাবী করেছেন, ঢেমুশিয়ার জলমহালে লোনা পানি ঢুকানোর কারণে গবাদি পশুসহ স্থানীয় লোকজন সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি ওই এলাকার লোকজন অযু করার বিশুদ্ধ পানিও খুজে পাচ্ছেনা।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামশুল তাবরীজ বলেন, কৃষক ও জনসার্থে বিষয়টি জরুরী ভাবে দেখা হচ্ছে। অপরদিকে চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাহিদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবী করেন, এ ধরণের অভিযোগ এখনো কৃষকেরা করেনি। তবে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।


আরো খবর: