শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চকরিয়ায় ছয়দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত ৯ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০২২

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল থেকে অপহৃত নবম শ্রেণীতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রী হাদিছা জন্নাত মাহী ৬দিনেও উদ্ধার হয়নি। এমনকি জড়িত বখাটে মুবিনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত ১০ মার্চ সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়।

এ ঘটনায় অপহৃত স্কুল ছাত্রীর মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে অহরণকারী মো. মুবিনকে আসামী করে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন।

মায়ের অভিযোগ, এজাহার দেয়ার পর থেকে অদ্যবদি অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও জড়িত বখাটেকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এ নিয়ে অপহৃত শিক্ষার্থীর পরিবারে উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। অপহৃত মাহি উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওমান প্রবাসী মনোয়ার আলমের মেয়ে।

চকরিয়া থানায় দায়ের করা এজাহারে রোকেয়া বেগম জানান, আমার মেয়ে হাদিছা জন্নাত মাহী (১৩) স্থানীয় মেরিট প্লাস স্কুলে ৯ম শ্রেণিতে পড়ছে। প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে নানাভাবে ইভটিজিং করতো উপজেলার মানিকপুর এলাকার মো. মুবিন (২৩)।

বিভিন্ন সময় পথরোধ করে কু-প্রস্তাব দিতো। এসবে রাজি না হওয়ায় আমার মেয়েকে বখাটে মুবিনসহ সাঙ্গপাঙ্গরা বেশকয়েকবার অপহরণের হুমকিও দেন।

সব ঘটনা মাহি আমাকে জানায়। এরই মধ্যে একপর্যায়ে বখাটের ভয়ে স্কুলে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেন মাহি। বিষয়টি স্কুলের শিক্ষক বা স্বজনদের জানালে বখাটে যুবক মুবিন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়েকে অপহরণ ও মেরে ফেলারও ভয় দেখায়।

রোকেয়া বেগম দাবি করেন, হুমকির ভীতি উপেক্ষা করে সর্বশেষ গত ১০ মার্চ সকাল ৯টার দিকে মাহী স্কুলে যাচ্ছিলেন। ওইসময় আগে থেকে পথে দাঁিড়য়ে থাকা মুবিন ও তার সহযোগিরা অস্ত্রের মুখে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় আমি (রোকেয়া বেগম) বাদি হয়ে বখাটে মুবিনকে প্রধান আসামী করে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ ঘটনার ৬দিন পার হলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। এমনকি এঘটনায় পুলিশের তৎপরতাও দেখা যাচ্ছে না।

জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, মামলার হাজিরা দিতে চট্টগ্রামে আসলাম। ছাত্রী অপহরণের বিষয়টি এই মুর্হুতে অবগত নই। তবু এধরণের ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো খবর: