নয়াদিল্লি, ০৬ ডিসেম্বর – ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত ভারতের তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র প্রদেশ। ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে হাওয়া বইতে থাকে। একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি। প্রায় দুকোটি মানুষ ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন । এখনও পর্যন্ত এই ঝড়ে ১৭ জনের মৃত্য়ু হয়েছে । তার মধ্য়ে চেন্নাইতে ১৬ জন এবং অন্ধ্র প্রদেশ ১ জন। আহত হয়েছে অন্তত ১১ জন।
সেখানকার সরকার জানিয়েছে, গত দুই দিনে তিন মাসের সমান বৃষ্টি হয়েছে চেন্নাইয়ে। শহরটিতে মঙ্গলবার বৃষ্টি কমলেও, এখনও পানিতে তলিয়ে রয়েছে বেশিরভাগ এলাকা। এদিন দুপুরে অন্ধ্র প্রদেশের বাপাতলা উপকূল অতিক্রম করে ঝড়টি।
গাজায় স্কুলে ফের ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২৫
এ সময় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। উপকূল পেরোতে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টির লাগে দুই ঘণ্টা। পরে তা দুর্বল হয়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাতিল হয় ৫০টি ফ্লাইট ও দূরপাল্লার একশ ট্রেন। উপড়ে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছপালা ও বিলবোর্ড। সমঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। অন্ধ্রপ্রদেশের আটটি জেলায় সতর্কতা জারি করে রাজ্য সরকার। সরিয়ে নেওয়া হয় সাড়ে নয় হাজার মানুষকে।
ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই চেন্নাইতে সোমবার ভোর থেকে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টি থামলেও এখনও শহরজুড়ে রাস্তায় পানি জমে আছে। হাসপাতালের ভিতরে পানি ঢুকে গেছে। নিচু এলাকার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শহরের অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। বিশুদ্ধ খাবার পানির সমস্যাও শুরু হয়ে গেছে। আসলে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় শহর থেকে পানি বের হতে পারছে না।
এই প্রবল বৃষ্টিতে দেওয়াল ভেঙে পড়েছে, গাড়ি ভেসে গেছে, রাস্তা ভেঙে গেছে, প্রচুর বাড়িতে পানি ঢুকেছে। শহরের নিচু এলাকা থেকে প্রচুর মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা রবার বোট নিয়ে মানুষকে উদ্ধার করছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্টালিন জানিয়েছেন, প্রায় ৬২ হাজার ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। ১১ লাখ দুধের প্যাকেট বিলি করা হয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩