লিব্রভিল, ৩০ আগস্ট – মধ্য আফ্রিকার দেশ গ্যাবনে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটির জাতীয় টেলিভিশন গিয়ে সেনা কর্মকর্তারা ঘোষণা দিয়েছেন, গত শনিবার যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেটি স্বচ্ছ হয়নি। এ কারণে ক্ষমতা দখল করেছে তারা।
বুধবার (৩০ আগস্ট) গ্যাবন২৪ টেলিভিশন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সেনা কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন ও সংবিধান বাতিল করা হয়েছে এবং দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ওই কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, তারা দেশের সকল নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন।
গত শনিবার গ্যাবনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসেন প্রেসিডেন্ট আলী বোঙ্গো ওনদিম্বা। তবে এ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ছিল।
অভ্যুত্থানকারী কর্মকর্তার বলেছেন, ‘গ্যাবনের সাধারণ মানুষের পক্ষ হয়ে…. আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বর্তমান সরকারকে বিলুপ্তি করে দেশের শান্তি বজায় রাখব।’
গত শনিবার দেশটির বিরোধী দলগুলো জানায় প্রেসিডেন্ট আলী বোঙ্গো ও তার সহযোগিরা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করেছে। নির্বাচনের পরে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় কারফিউ জারি করা হয়েছিল। এছাড়া নির্বাচনের সময় ফ্রান্সের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট বোঙ্গো গ্যাবনিস ড্যামোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিজি) ব্যানারে নির্বাচন করেছিলেন। এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার বাবা ওমর বোঙ্গো। তিনি ১৯৬৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত গ্যাবনকে শাসন করেন। ওই বছর তার মৃত্যুর পর, তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলী বোঙ্গো ওনদিম্বা প্রেসিডেন্ট হন। এরপর থেকে তিনিই ক্ষমতায় রয়েছেন।
মধ্য আফ্রিকার এ দেশটি গত ৫৬ বছর ধরে এক পরিবারের মাধ্যমেই শাসিত হয়ে আসছে।
গত শনিবারের নির্বাচনের পরই গ্যাবনে অস্থিরতা দেখা দেয়। বিরোধী দলগুলো বোঙ্গোর পারিবারিক শাসনের অবসানের দাবিতে সরব হয়।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও এএফপি জানিয়েছে, সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেওয়ার পরই গ্যাবনের রাজধানী লিভরেভিলেতে গুলির শব্দ শোনা যায়।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ৩০ আগস্ট ২০২৩