শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

গর্জনবুনিয়া সীমান্তে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে গোলাবর্ষণ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২

নাইক্ষ্যংছড়ির রেজু গর্জনবুনিয়া সীমান্তে চেয়ারম্যান বাগানে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে মঙ্গলবার সারাদিন গোলা এসে পড়েছে মিয়ানমার বাহিনীর।

গোলাবর্ষণের আওয়াজ ও গোলার ভয়ে সে সময় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাগান শ্রমিকরা পালিয়ে এসেছে নিজ বাড়িতে।

শ্রমিকদের দাবী, মঙ্গলবার সকালে তারা বাগানের কাজে যায়। হঠাৎ দেখে পূর্ব দিক থেকে হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে। আর গোলা ফেলছে। যাতে তারা ভয় পান। পালিয়ে আসে দুপুরের পরপর। বিশেষ করে ১ টার পরপর আসা হেলিকপ্টার থেকে গোলার আওয়াজ তাদের আতংকিত করে।

তারা আরো বলেন, পরশু (রোববার) মর্টার শেল নিক্ষেপের বিষয়টি দৃশ্যমান হওয়ার পর সবর্ত্র ত্তোলপাড় সৃষ্টি হলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। রাষ্ট্রিয়ভাবে প্রতিবাদ করে।যার কারণে তারা ভাবছিলো মিয়ানমার বাহিনী গোলাগুলি বন্ধ করে দিবে। কিন্তু মিয়ানমার বাহিনী তা কর্ণপাত না করে মঙ্গলবার সারাদিন সীমান্তে মর্টার শেল নিক্ষেপ করে।

তারা আরো জানান, তারা মঙ্গলবার সকালে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজের বাগানে কাজ করছিলো। হঠাৎ দেখতে পান হেলিকপ্টার আর গোলার শব্দ।এভাবে দুপুর পর্যন্ত গোলাবর্ষণের পর তারা কাজ না করে একপর্যায়ে পালিয়ে আসে বাড়িতে।

বাগান মালিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, মিয়ানমারের একটি হেলিকপ্টার কয়েক দফা তার বাগান ও আশপাশে টহল দিয়ে অসংখ্য গোলা বর্ষণ করেছে মঙ্গলবার। যাতে তার লেবাররা কাজ না করে দুপুরেই বাড়ি ফিরে এসেছে।

অভিজ্ঞ মহলের মতে গত রোববার মিয়ানমারের সরকারী ও আরকান আর্মির সংগঠিত যুদ্ধে ব্যবহৃত পরপর দু’টি মর্টারশেল বাংলাদেশের কয়েক’শ গজ ভেতরের তুমরু গ্রামে এসে পড়ে। অবিষ্ফোরিত এই ২ টি মর্টারশেল সেদিন রাতে ধ্বংস করেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর রামু সেনা নিবাসে কর্মরত বোমা বিশেষজ্ঞরা।

একই সাথে সোমবার দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এর কড়া প্রতিবাদ জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। যা সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

এতে তিনি বলেন, সোমবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে (সোমবার) একটি মৌখিক নোটের মাধ্যমে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন, যেন এ ধরণের ঘটনা আর না ঘটে। তিনি এ ঘটনার নিন্দাও জানিয়েছিলেন।কিন্তু এর পর দিন মিয়ানমার মঙ্গলবারও পূর্বের আদলে সীমান্তের রেজু গর্জনবুনিয়া পয়েন্ট সহ বিভিন্ন পয়েন্ট গোলাগুলির ঘটনা ঘটানোর কারণে স্থানীয়দের মাঝে নতুন করে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।এ বিষয়ে স্থানীয় বিজিবি কতৃপক্ষের কাছে বক্তব্য নিতে বারবার চেষ্টা করলেও মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায় নি।


আরো খবর: