কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের তলিয়াঘোনায় ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পাউবো নিয়ন্ত্রিত বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সাগরের জোয়ারের লবণাক্ত পানি ঢুকে ৪ শতাধিক কৃষকের ধান তলিয়ে গেছে। এর ফলে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন।
ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কক্সবাজার জেলার উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ জিয়া উদ্দীন আরিফ।
তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, খুটাখালী তলিয়াঘোনার ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাঙ্গন এলাকা চিহ্নিত করে পরিমাপও করা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে এবং শিগগিরই বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।
পরিদর্শনকালে খুটাখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য আবদুল আওয়াল বলেন, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে তলিয়াঘোনার পেটভরা সংলগ্ন ফখরু মেম্বারের চিংড়ি ঘেরের পলবোট ও সামনে পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়াঘোনার অসংখ্য মানুষের ধান প্লাবিত হয়েছে।
তিনি দ্রুত ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ পুন:মেরামত করার জন্য পাউবোর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।
এদিন দুপুরে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের তলিয়াঘোনা ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ এলাকা পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পাউবো উপ সহকারী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র দত্ত। তাঁর সাথে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মৌলভী আবুল বশর, শামসুল আলম, আবু ছৈয়দ, শাহজাহান, মোঃ জকরিয়া, মোঃ এমরান, মুজিবুর রহমান, লেদু মিয়া, কামাল সওদাগর, সেতারা বেগম, পাখি বেগম, মোঃ সায়েম, হিরু ও রুহুল আমিন প্রমুখ।