শিরোনাম ::
বৈরুতে আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৫ পরীমণির প্রয়াত প্রথম স্বামী, কে এই ইসমাইল? চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছে বছরে ৪ বিলিয়ন ডলার খুনিদের গোড়া থেকে নির্মূল না করলে আবার ষড়যন্ত্র করবে রোহিঙ্গা তরুণদের ‘ইয়ুথ মুভমেন্ট ফর আরাকান’ এ স্বদেশ ফেরার আকুতি বাংলাদেশের তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক চকরিয়ায় মহাসড়কে গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত চকরিয়া পেকুয়ার প্রবাসি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকল্পে হেল্পডেক্স চালু সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ চকরিয়ার সাহারবিলের জেলে কমল সেন নায়িকা পরীমণির প্রথম স্বামী নিহত: যা জানালো পুলিশ
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যের আন্ত : তদন্ত কমিটি গঠন

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২২

বিশেষ প্রতিবেদক::

কক্সবাজারের উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা এলাকার ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি ‘আন্ত : তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়। অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়নকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে। সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ মোহাম্মদ রেজওয়ান হায়াত।

অগ্নিকান্ডের ঘটনায় রোববার রাতে সেখানে দায়িত্বরত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রায় ১২০০ ঘর পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও পরে বলা হয় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ৪৬৯টি বসত ঘর পুড়ে গেছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের ৪৫৯টি ও স্থানীয়দের ১০টি বসত ঘর রয়েছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অন্তত ৪০ কোটি টাকার বেশী।

আর্মড পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, রোববার বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিটের দিকে ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের বি-বøকে এই অগ্নিকাÐের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে ফায়ার সার্ভিস, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ মোহাম্মদ রেজওয়ান হায়াত জানিয়েছেন, অগ্নিকাÐে যাদের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে কিংবা গৃহহীন হয়েছে, তাদের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের মাধ্যমে আশ্রয় শিবিরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। তাদের খাবার ও শীতের কাপড়-চোপড় দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে তাবু টানানোর কাজ চলছে। আমরা আশা করছি, আগামীকালের মধ্যেই সকলকে সেখানে স্থানান্তর করতে পারবো।

উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত করোনা হাসপাতালে আগুন লাগে। এতে কেউ হতাহত না হলেও হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের ১৬ কেবিন পুড়ে যায়। এর আগে গত বছরের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীতে আগুনে পুড়ে মারা যান ১৫ জন রোহিঙ্গা। তখন প্রায় ১০ হাজার ঘর পুড়ে ছাই হয়েছিল।


আরো খবর: