শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চট্রগ্রামে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম ও টেলিটকের এক হাজার ৩৫০টি নিবন্ধনহীন সিমসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

গ্রেফতার ব্যক্তির নাম বদরুদ্দোজা (৩৬)। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মধ্যম কাঞ্চনা এলাকার মাওলানা শফিকুর রহমানের ছেলে। শুক্রবার চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর সৌদি আরব থাকার পরে দুই বছর আগে দেশে আসেন বদরুদ্দোজা। এসেই ছোট ভাইয়ের সঙ্গে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। ছোট ভাই নুরুল হুদা রনি টেকনিক্যাল কাজ জানতেন। তিনি বড় ভাইকে ভিওআইপি ব্যবসা করার বুদ্ধি দেন।

যন্ত্রপাতি কেনার টাকা দেন বদরুদ্দোজা। আর রনি ট্যাকনিক্যাল বিষয়গুলো দেখা শুরু করেন৷ দুই ভাই মিলে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, দেড় বছর আগে বাকলিয়া বাসা ভাড়া নিয়ে ভিওআইপি সরঞ্জাম স্থাপন করেন তারা। ওই বাসা থেকে টেলিটকের এক হাজার ৩৫০টি টেলিটকের মোবাইল সিম উদ্ধার করেছি। ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর ৬০ থেকে ৭০টি সিম কিনতেন চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। একেকটির মূল্য ৪৮০ টাকা।

তিনি বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তাদের কেনা সিমগুলো নিবন্ধনবিহীন। কেনার পর এগুলো সাতদিন চলে। অনেক সিম আবার মাসখানেকের মতো চলে । বিটিআরসি থেকে নম্বর ব্লক করার ওপর সিম চলার সময়টা আসলে নির্ভর করে। উদ্ধার সিমের বেশিরভাগই এখন ব্লকড বলে তারা জানিয়েছেন। বিষয়টি টেলিটক কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, প্রতি মিনিট কথা বলার জন্য তারা ৬ পয়সা লাভ করতেন। বড় ভাই বিদেশ থাকার সময় রনি অন্যদের সঙ্গে মিলে ভিওআইপি ব্যবসা করতেন। ওই ভাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বাকলিয়ার আবাসিক একটি ভবনের পাঁচতলার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ভিওআইপি ব্যবসার সরঞ্জাম জব্দসহ বদরুদ্দোজাকে আটক করা হয়। ভিওআইপি ব্যবসার তিনটি মেশিন, চারটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, আটটি রাউটার, সিম, এক ব্যাগ সিম কার্ডের খালি প্যাকেট, একটি সিসি ক্যামেরাসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এসবের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫৫ লাখ টাকা।

অবৈধ ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযানে বিটিআরসির কর্মকর্তারা সহযোগিতা করেন বলেও জানান র‍্যাবের এ কর্মকর্তা।


আরো খবর: