নিজস্ব প্রতিবেদক,উখিয়া::
উখিয়ার কোট বাজার স্টেশনে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ৫ টি পয়েন্টে টোকেন বাণিজ্যের নামে সিএনজি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতির নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কোটবাজার ফোর স্ট্রোক সিএনজি মালিক ও চালক কল্যাণ সমবায় সমিতির নামে এসব টোকেন দিয়ে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হয় বলে মালিক, ড্রাইভার ও শ্রমিকরা এমন অভিযোগ তুলেন।
সড়কে টোকন দিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায়সহ ব্যাপক অনিয়ম স্বজনপ্রীতি ও নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী সদস্যরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে ২০০৮ সালে কোট বাজার ফোর স্ট্রোক সিএনজি মালিক ও চালক কল্যাণ সমবায় সমিতি নামে একটি সংগঠন সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন লাভ করেন। সেই থেকে অধ্যবধি দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ বিনা ভোটে কমিটি গঠন হয়ে আসছে। এমনকি সাধারণ সভা পর্যন্ত হয় না। বর্তমানে কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন খান সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী।
পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন , সমিতি থেকে টোকেন দিয়ে প্রতিমাসে প্রতি সিএনজি গাড়ি থেকে ৩০০ টাকা আদায় করে থাকে। এছাড়াও হাতে লাটি নিয়ে কোটবাজার – উখিয়া ২০ টাকা, সোনার পাড়া ২০ কক্সবাজার ২০ টাকা এ ভাবে প্রতিদিন ৬০ টাকা জোরপূর্বক ভাবে আদায় করছে। গাড়ির সংখ্যা হচ্ছে হাজারের অধিক। সমিতির সদস্য খলিলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন টোকেন বাণিজ্য করে প্রতিমাসে এক হাজার সিএনজি থেকে ৩ লাখ টাকা এবং প্রতিদিন একটি সিএনজি থেকে আরো ৬০ টাকা এ ভাবে মাসে ৬/৭ লক্ষ টাকা আদায় হাতিয়ে নিচ্ছে। ওই টাকা বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থাকে দেয়ার কথা বলে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ভাগ ভাটোয়ারা করে থাকে।
সমিতির সদস্য ফজলুল করিম কালু ও পেটান আলী বলেন আবদু, বদি আলম, কালা পুতু ও সাহাব উদ্দিন হাতে লাঠি নিয়ে জোরপূর্বক ভাবে সড়কে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে এ চাঁদা নেওয়া হয় । কেউ দিতে না চাইলে মারধর ও নাজেহালের শিকার হতে হয় ড্রাইভারদের।
সমিতির সদস্য শামসুল আলম ভুলু জানান, সমিতি এখন সিন্ডিকেটে পরিনত হয়েছে। সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বৈরাচারী কায়দায় সংগঠন পরিচালনা করছে । বিনা ভোটে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দরা সমিতিকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। তাদের টোকেন বাণিজ্য অনিয়ম ও অন্যায় কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে উল্টো নিরহ প্রতিবাদকারীদের কে সমিতি থেকে বহিঃষ্কার করে।
সমিতির সদস্যরা তদন্ত কমিটি গঠন করে টোকেন বাণিজ্যের মাধ্যমে চাঁদাবাজী বন্ধ সহ সমিতির অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবী জানিয়েছেন।