অটোয়া, ২৭ জুলাই – মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদলে এনেছেন কানাডারয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। অন্তত সাতজন মন্ত্রীকে অব্যাহতি দিয়ে নতুনদের দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। নির্বাচন সামনে রেখে ট্রুডোর এ পদক্ষেপকে তার সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৬ জুলাই) দেশটির পার্লামেন্টে মন্ত্রিসভার ৩৮ জন সদস্য শপথ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৮ জন মন্ত্রী তাদের আগের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন। বাকি সবারই মন্ত্রণালয় পরিবর্তন করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক জরুরি প্রস্তুতি বিষয়কমন্ত্রী বিল ব্লেয়ার। প্রায় দুই বছর ধরে এই পদে নিযুক্ত থাকা অনিতা আনন্দের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ব্লেয়ার। অনিতা এখন থেকে কানাডার ট্রেজারি বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
যেসব মন্ত্রীদের মন্ত্রণালয় পরিবর্তন হয়নি তাদের মধ্যে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি। এদিকে, জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী মার্কো মেন্ডিসিনোকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন দীর্ঘদিনের সংসদ সদস্য ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ক।
এছাড়া আরও চার মন্ত্রীকে অপসারণ করেছেন ট্রুডো। বিশাল এ রদবদলের ঘটনায় ট্রুডো সরকারের নিন্দা ও সমালোচনা করেছেন বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টি। দলটির দাবি, এর মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়েছে।
২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে কানাডার ক্ষমতায় রয়েছে ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি। ২০২১ সালে দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের দুই বছরের মাথায় মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল আনলেন ট্রুডো।
এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, কানাডা অভ্যন্তরীণ ও বিশ্বব্যাপী একটি কঠিন মুহূর্ত পার করছে। পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে মোকাবিলার জন্যই এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, মুদ্রাস্ফীতি ও আবাসন সংকট থেকে দেশবাসীকে মুক্তি দিতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ট্রুডো আরও বলেন, মানুষ বুঝতে পেরেছে যে শুধু আমরা নই, পুরো বিশ্বই একটি কঠিন সময়ে মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই এ সময়ে পরিবর্তন আনা জরুরি ছিল।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ২৭ জুলাই ২০২৩