শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

করুণা নয়, ন্যায্য হিস্যা দাবি করছি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩
করুণা নয়, ন্যায্য হিস্যা দাবি করছি


ঢাকা, ১৪ মার্চ – সংকট উত্তরণ অবধি সহজশর্তে অর্থায়ন করার মধ্য দিয়ে ন্যায্য হিস্যা দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্বের সংকটময় পরিস্থিতিতে অনেক উন্নয়ন অংশীদার সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে, ব্যবসায়িক অংশীদাররা অপ্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ করছে, যা আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশ ও এডিবির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আমরা এ ভূরাজনৈতিক সংকটের শিকার হলেও বাংলাদেশ মোটেও দায়ী নয়। বরং আমাদের কষ্টার্জিত অর্জনগুলোকে নস্যাৎ করছে। আমাদের একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা এ সংকটের তাৎক্ষণিক সমাধানও দেখতে পাচ্ছি না। এটা শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে না, সারা বিশ্বব্যাপী এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে। বেশিরভাগ দেশই খাদ্য খাটতি, জ্বালানি এবং আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। যার ফলে মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবক্ষয় এবং মুদ্রাস্ফীতি আরও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটা সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এতে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের দরিদ্রতম অংশকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করছে।

তিনি আরও বলেন, এ সংকটময় সন্ধিক্ষণে আমরা হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, অনেক উন্নয়ন অংশীদার সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা বেশিরভাগ প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন অর্থায়নকে অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর করে তুলছে। একাধিক অর্থনৈতিক ধাক্কার প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। বৈশ্বিক অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসা অবধি সহজশর্তে অর্থায়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ও উন্নত দেশগুলোকে এ বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে। তাদের নজর আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমি দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, আইসিটিভিত্তিক উদ্যোক্তা, মানসম্পন্ন অবকাঠোমো, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবসম্পদ উন্নয়নের ওপর কৌশলগত গুরুত্বারোপসহ অর্থায়নে নমনীয় পদ্ধতি এবং উদ্ভাবনী অর্থায়নের জন্য এডিবির প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বেসরকারি খাতকে কাজে লাগানো একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যা বিনিয়োগবান্ধব ব্যবসার পরিবেশ তৈরিতে অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

সূত্র: যুগান্তর
আইএ/ ১৪ মার্চ ২০২৩

সম্পুর্ন খবরটি পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন ::করুণা নয়, ন্যায্য হিস্যা দাবি করছি first appeared on DesheBideshe.



আরো খবর: