এম.এ আজিজ রাসেল::
শহরে কটেজ জোনে আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর কক্সবাজার। এসময় ৬টি অবৈধ ভবনের আংশিক স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
বুধবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব আবু জাফর রাশেদ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আরিফুর রহমান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কটেজ জোনে স্মরণ ও সৈকত আবাসিক এলাকার প্লটে একটি চক্র অনুমোদনহীন ৫-৬টি ভবন নির্মাণ করছে। ভবন নির্মাণে আবুল নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে চক্রটি বিভিন্ন দপ্তরকে ম্যানেজ করার জন্য মালিকপক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। অবৈধ ভবন নির্মাণ বন্ধ করতে কউক ও গণপূর্ত আরও কয়েক দফা অভিযান চালায়। কিন্তু অভিযান শেষ হলে পুনরায় রাতের আঁধারে জোরেশোরে চলে নির্মাণ কাজ।
গত রোববার এখানে খরুলিয়া ঘাট পাড়া এলাকার সৌদি প্রবাসী মোস্তাক আহমদের নির্মাণাধীন ভবনের সেফটি ট্যাংকে বিষক্রিয়ায় দুই শ্রমিক নির্মমভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এসময় আহত হয় আরও একজন। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে এক ছাত্রলীগ নেতা ও সাংবাদিকের নেতৃত্বে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মিশন বাস্তবায়ন করা হয়।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার অবৈধ ভবনগুলো গুড়িয়ে দিতে অভিযান চালানো হয়। এসময় পুরাতন ঢাকার বাড়ী রেস্তোরাঁ লোহাগড়ার আব্দুল হক এর মালিকানাধীন ভবন,পিএমখালীর মনিরের মালিকানাধীন ভবন,পুরাতন জিএম গেস্ট হাউস,রমজান কটেজ, আলোচিত কক্স ওশানিয়া ও পিএমখালীর ফিরোজের মালিকানাধীন ভবন আংশিক স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
কউক (সচিব) আবু জাফর রাশেদ বলেন, গণপূর্তের জায়গা অবৈধ দখল করে অনুমোদনহীন বহুতল ভবনের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান। সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে পর্যায়ক্রমে। বিশ্বের দীর্ঘতম পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কোন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে দেবেন না কউক। দিনে উচ্ছেদ রাতে নির্মাণ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাতে নির্মাণ হওয়া অবৈধ ভবন আমরা দিনে ভেঙ্গে দেব, সকল অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।
এসময় কউক’র অথরাইজড অফিসার রিশাদ উন নবীসহ বিদ্যুৎ বিভাগ, আনসার ব্যাটালিয়ান সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।